সত্তর-আশির দশকে বলিউডের (Bollywood) বহু অভিনেত্রী নিজের অভিনয় এবং রূপের সৌজন্যে দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছিলেন। এমনই একজন অভিনেত্রী হলেন রাখি গুলজার (Rakhee Gulzar)। একসময় নায়িকা হিসেবে রুপোলি পর্দা কাঁপানোর পর বহু ছবিতে মায়ের চরিত্রেও অভিনয় করেছেন তিনি।
বলিউড কাঁপানো এই অভিনেত্রীর (Actress) কেরিয়ার শুরু হয়েছিল বাংলা সিনেমার হাত ধরেই। ১৯৬৭ সালে মাত্র ২০ বছর বয়সে ‘বধূ বরণ’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন তিনি। বলিউডে প্রথম ছবি ‘জীবন মৃত্যু’। সেই ছবিতে ধর্মেন্দ্রর সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন রাখি। ১৯৭১ সালে পরপর তিন সুপারহিট ছবি, ‘শর্মিলি’, ‘লাল পত্থর’ এবং ‘পারস’এ কাজ করার পর বদলে যায় নায়িকার জীবন।
নিজের কয়েক দশক দীর্ঘ কেরিয়ারে অমিতাভ বচ্চন থেকে শুরু করে রাজেশ খান্না, সলমন খান থেকে শুরু করে শাহরুখ খান- বলিউডের বহু সুপারস্টারের সঙ্গে কাজ করেছেন রাখি। তবে সেই অভিনেত্রীই এখন বলিউডের গ্ল্যামার থেকে সরে গিয়ে একা একা জীবন কাটাচ্ছেন।
রাখি বলিউডের অন্যতম সেরা এবং জনপ্রিয় অভিনেত্রী হলেও তাঁর ব্যক্তিগত জীবন একেবারেই সুখের ছিল না। অভিনেত্রীর প্রথম বিয়ে হয়েছিল মাত্র ১৬ বছর বয়সে। প্রথম স্বামীর নাম ছিল অজয় বিশ্বাস। উনি পেশায় একজন পত্রকার এবং চলচ্চিত্র নির্দেশক ছিলেন। কিন্তু সেই বিয়ে বেশিদিন টেকেনি। মাত্র ২ বছরেই ভেঙে যায় সেই বিয়ে। এরপরই অভিনয় দুনিয়ায় পা রাখেন রাখি।
সিনেমায় কাজ করার সৌজন্যেই নামী গীতিকার গুলজারের সঙ্গে আলাপ হয় রাখির। ১৯৭৩ সালে গাঁটছড়া বাঁধেন দু’জনে। তাঁদের একটি মেয়েও রয়েছে। রাখি এবং গুলজারের কন্যা হলেন, বলিউডের জনপ্রিয় ডিরেক্টর মেঘনা গুলজার। তবে মেয়ের জন্মের পরই তারকা দম্পতির সম্পর্কে ভাঙন ধরে। দু’জনে আলাদা থাকা শুরু করেন। যদিও শোনা যায়, এখনও ডিভোর্স হয়নি গুলজার এবং রাখির।
শোনা যায়, গুলজারের সঙ্গে বিয়ের পরেও রাখি সিনেমায় কাজ করতে চাইতেন। কিন্তু গীতিকার তা চাইতেন না। সেই কারণেই দু’জনের সম্পর্কের অবনতি হয়। উল্লেখ্য, বিয়ের পর রাখি ‘মেরে সজনা’, ‘অঙ্গারে’, ‘কভি কভি’, ‘শ্রীমান শ্রীমতী’-সহ বেশ কয়েকটি সুপারহিট ছবিতে কাজ করেছেন।
জানিয়ে রাখা প্রয়োজন, একসময় বলিউড কাঁপানো এই অভিনেত্রীর বর্তমান বয়স ৭৫ বছর। এখন তিনি মুম্বইয়ে থাকেন। ফিল্মি দুনিয়া থেকে দূরে সরে একাই জীবন কাটান অভিনেত্রী। জনসমক্ষেও খুব বেশি দেখা যায় না তাঁকে।