হাতে গুনে গুনে ঠিক নয় সেকেন্ড। এইটুকু সময়ের মধ্যে শেষ হয়ে গেল নয়ডার বিখ্যাত টুইন টাওয়ার (Noida twin tower)। ঘড়ি ধরে ঠিক দুপুর ২:৩০’এর সময় সাইরেন বাজে। আর ঠিক হাতেগোনা নয় সেকেন্ডের মধ্যে একেবারে মাটিতে মিশে যায় নয়ডার বিখ্যাত যমজ অট্টালিকা। কিন্তু কেন হঠাৎ ভাঙা হল সেই অট্টালিকা?
চলতি বছর, অর্থাৎ ২০২২ সালের ১২ আগস্ট সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল ২৮ আগস্ট ভেঙে ফেলতে হবে এই যমজ অট্টালিকা। আর সেই নির্দেশ মেনেই আজ, অর্থাৎ রবিবার ভেঙে (Demolition) দেওয়া হল সেই দুই বিল্ডিং। সাক্ষী থাকল গোটা দুনিয়া।
নয়ডার এই যমজ অট্টালিকা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছিল নির্মাণ সংস্থা সুপারটেক তাদের দেওয়া কথা রাখতে ব্যর্থ হওয়ার কারণে। ‘এমারেল্ড কোর্ট’এর প্রথম পরিকল্পনাতে এই বহুতল নির্মাণকারী সংস্থা জানিয়েছিল, এই দুই আবাসনের লাগোয়া একটি বিস্তৃত সবুজে ঘেরা অংশ থাকবে। থাকবে বেশ বড় বড় কিছু গাছগাছালিও।
পরিকল্পনামাফিক এটি তৈরি করার কথা ছিল সুপারটেকের। কিন্তু কোথায় কী! ২০০৬ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত খাতায় কলমে সেই কাজ করার কথা থাকলেও, দুই অট্টালিকা তৈরির পরিকল্পনা করা হলে দেখা যায়, যেখানে সবুজালি তৈরির কথা ছিল, সেখানেই তৈরি হতে চলেছে ওই আকাশছোঁয়া দুই বিল্ডিং। যা নির্মাণ সংক্রান্ত প্রচুর আইন ভেঙেছিল বলে শোনা যায়।
Gone in seconds….
Noida Twin Towers Demolished. pic.twitter.com/UWURWFX59h— Sagar Rane ?? (@sagarrane999) August 28, 2022
পাশাপাশি পরিকল্পনাতেও বেশ কিছু বদল করার কথা পরে ঘোষণা করা হয়। প্রথমে ঠিক করা হয়েছিল, মোট ১৪টি আবাসন তৈরি করা হবে। প্রত্যেকটির উচ্চতা হবে ৯ তলা করে। কিন্তু ২০১২ সালে সেই প্ল্যান বদল করে জানানো হয় দু’টি যমজ অট্টালিকা তৈরি করা হবে। নাম হবে, ‘অ্যাপেক্স’ এবং ‘সিয়ান’।
এলাকার সবুজালি ধ্বংস করে এই দুই আবাসন তৈরি অভিযোগ আগেই উঠেছিল। অবশেষে দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর ঘোষণা করা হয় গুঁড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত। সকাল থেকে নয়ডদার ৯৩এ সেক্টরে এই টুইন টাওয়ারের পাশে মোতায়েন করা হয়েছিল পুলিশকর্মী, রিজার্ভ ফোর্স এবং জরুরী বাহিনীর দল। দূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য রাখা হয়েছিল স্মগ গানও। শেষ পর্যন্ত ঠিক দুপুর ২:৩০’টের সময় ভেঙে দেওয়া হয় এই যমজ অট্টালিকা।