নামী অভিনেতা বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে (Biswajit Chatterjee) কে না চেনে! টলিউড ‘ইন্ডাস্ট্রি’ বলা হয় যাকে, সেই প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের (Prosenjit Chatterjee) পিতা তিনি। টলিউড কাঁপানোর পর বলিউডের চুটিয়ে কাজ করেছেন তিনি। তাই সারা দেশ জুড়েই রয়েছে অভিনেতা (Actor) খ্যাতি।
বিশ্বজিৎ যে অত্যন্ত বড় মাপের একজন অভিনেতা, সেই বিষয়ে কোনও দ্বিমত নেই। কিন্তু ভালো অভিনেতা হলেও, ভালো স্বামী কিংবা পিতা হতে পারেননি তিনি। পরকীয়ায় জড়িয়ে গিয়ে অভিনেতা ছেড়ে দিয়েছিলেন তাঁর প্রথম স্ত্রী এবং দুই সন্তান তথা প্রসেনজিৎ এবং পল্লবীকে।
বিশ্বজিৎ’এর কর্মজীবনের মতোই তাঁর ব্যক্তিগত জীবনও বেশ রঙিন। অভিনয়ের জন্য বাড়ি ছাড়া থেকে শুরু করে মুম্বইয়ে দ্বিতীয় সংসার পাতা- আজকের প্রতিবেদনে বর্ষীয়ান এই অভিনেতার জীবনের অজানা কিছু কাহিনী তুলে ধরা হল।
টলিপাড়া এবং বলিপাড়া কাঁপানো এই অভিনেতার মামাবাড়ি ছিল বেশ রক্ষণশীল। চল্লিশ-পঞ্চাশের দশকে অভিনয় নিয়ে অধিকাংশ পরিবারের মধ্যে নাক সিটকানোর একটা ব্যাপার ছিল। বিশ্বজিৎ’এর মামা বাড়িও এর ব্যতিক্রম নয়। সেই কারণে শেষমেশ বাড়ি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন অভিনেতা। মুম্বইয়ে কাজের সূত্রে থাকতে থাকতেই জড়িয়ে পরেছিলেন বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে।
অভিনেতার প্রথম পক্ষের মেয়ে তথা অভিনেত্রী পল্লবী চট্টোপাধ্যায় এই প্রসঙ্গে বলেন, ইরা কাকিমাকে ভালবেসে ফেলেছিলেন বিশ্বজিৎ। সেই কারণে তাঁর সঙ্গেই পাতেন দ্বিতীয় সংসার। বাবার জন্য তাঁর যে খুব মন খারাপ হতো তেমনটা নয়। কারণ বাবা যখন কাজে যেতেন এবং কাজ থেকে ফিরতেন- দুই সময়ই তাঁরা ঘুমের দেশে থাকতেন। তাই বাবার সঙ্গে খুব বেশি সময় কাটাননি তিনি।
তবে ১৮ ডিসেম্বর, অর্থাৎ অভিনেতার জন্মদিন এলেই মন কেমন করত। যতদিন অভিনেতা দ্বিতীয় সংসার পাতেননি, ততফিক মুম্বইয়ে গিয়ে একসঙ্গে বাবার জন্মদিন উদযাপন করা হতো। বাবাকে কাছে পেতেন প্রসেনজিৎ এবং পল্লবী। কিন্তু দ্বিতীয় বিয়ের পর সেটি বন্ধ হয়ে যায়। তবে সেই কারণে বাবার জন্য কোনও রাগ কিংবা ক্ষোভ তাঁর মনে নেই। সৎ মা’কে নিয়েও কোনও রাগ নেই। এমনকি সৎ বোনের জন্যেও নিজের মনে কোনও প্রকারের হিংসা পুষে রাখেননি পল্লবী।