টেলিভিশনের দুনিয়ার অন্যতম জনপ্রিয় ধারাবাহিকের মধ্যে একটি হল ‘গৌরী এলো’ (Gouri Elo)। এই ধারাবাহিকের নায়ক-নায়িকার জনপ্রিয়তাও বিপুল। গৌরী এবং ঈশানের জুটির রসায়ন দর্শকদের বেশ পছন্দের। আর এই দুই অভিনেতা-অভিনেত্রী যেভাবে পর্দায় অভিনয় করেন তাতে তাঁদের মধ্যেকার ১৮ বছরের বয়সের ফারাকও চোখে পড়ে না।
বয়সে এতটা ফারাক থাকলেও পর্দার গৌরী এবং ঈশান তথা মোহনা মাইতি এবং বিশ্বরূপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Biswarup Bandyopadhyay) জুটির এই দুর্দান্ত রসায়নের রহস্যটা কী? দর্শকদের মনে কিন্তু মাঝেমধ্যেই এই প্রশ্নটা জাগে। সম্প্রতি এই বিষয়ে এক নামী সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করেছেন পর্দার ‘গৌরী এলো’ অভিনেতা।
পর্দার ঈশান তথা বিশ্বরূপকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, একে মোহনা বয়সে এতটা ছোট, তার ওপর আবার প্রথমবার পর্দায় অভিনয় করছেন, সব মিলিয়ে ধারাবাহিকের শ্যুটিং শুরুর প্রথমদিকে তাঁর ওপর কতটা বাড়তি দায়িত্ব ছিল?
জবাবে হাসতে হাসতে বিশ্বরূপ বলেন, ‘এটা কিন্তু প্রথম নয় জানেন তো। আমার সঙ্গে এটাই ঘটে চলেছে। আমার অভিনয় কেরিয়ারে যে অভিনেত্রীকেই পেয়েছি আমার বিপরীতে, সে আমার থেকে বয়সে অনেকটা ছোট। তবে এটা ঠিক, শুরুর দিকে মোহনা অর্থাৎ পর্দার গৌরীকে একটু সহজ করে তোলার জন্য আমার খানিক বাড়তি পরিশ্রম করতে হতো। ওঁর সঙ্গে বন্ধুত্ব করে সম্পর্কটাকে সহজ করা এসবই। তবে মোহনা খুব পরিশ্রমী। খুব তাড়াতাড়ি ও সব কিছু শিখে নিয়েছে’।
নায়িকাদের সঙ্গে পর্দার সমীকরণ প্রসঙ্গে বিশ্বরূপ বলেন, ‘রসায়ন তো ঠিক না, বিষয়টা আসলে সম্পর্কের সরলীকরণ। যাতে চরিত্রগুলি সহজভাবে ফুটিয়ে তোলা যায়। আমি সেই চেষ্টাই করছি। তবে ওই যে বললাম, আমার বাচ্চা সামলানোর অভ্যাস হয়ে গিয়েছে। ভবিষ্যতে চাইলে একটা স্কুল খুলতে পারব’।
সম্পর্কের সমীকরণের পর অভিনয় জগতের অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হয় ছোট পর্দার ঈশানকে। জবাবে অভিনেতা বলেন, ‘কমবেশি প্রায় অনেকেই জানেন, আমি পুরো অন্য একটা সেক্টর থেকে অভিনয় জগতে এসেছি। কোনও প্ল্যান ছিল না। প্রথম বন্ধুদের সূত্রে যখন কাজ পাচ্ছিলাম, তখন মনে হতো আমি ঠিক করছি তো! বা এটা আমি কী করছি! এরপর একে একে কাজ আসতেই থাকে আর আমিও করতে থাকি। এই করতে করতে অভিনয়কে ভালোবেসে ফেলি আমি। আর এখন যা করছি, তাতে দর্শকরা ভালোবাসা দিচ্ছেন। এতেই আমি ভালো আছি’।