বলিউডের ইতিহাসে এমন বহু ছবি রয়েছে যা এখনও দর্শকদের মনে গেঁথে রয়েছে। সেই সঙ্গেই ছবির প্রত্যেকটি চরিত্রও দর্শকদের খুব কাছের হয়ে গিয়েছে। আবার এমনও অনেক চরিত্র রয়েছে, যেগুলি দর্শকদের একেবারেই পছন্দ নয়। বলিউডের ইতিহাসে এমন বহু বাবাকে (Father) দেখা গিয়েছে, যাঁদের কাছে নিজেদের জেদটাই আগে। তার সামনে সন্তানের ভালোলাগা, ইচ্ছা সব কিছুই তুচ্ছ। আজকের প্রতিবেদনে বলিউডের (Bollywood) ইতিহাসের সবচেয়ে খারাপ ৫ বাবার চরিত্রের নাম তুলে ধরা হল।
‘কভি আলভিদা না কেহনা’ ছবির দেব শরণ (Dev Saran)- বলিপাড়ার অন্যতম বিতর্কিত এবং চর্চিত সিনেমা হল এটি। অনেকের মতে, শিক্ষণীয় একটি সিনেমা এটি। আবার অনেকে বলেন, এই ছবির মাধ্যমে পরকীয়াকে প্রোমোট করা হয়েছে। ‘কভি আলভিদা না কেহনা’ ছবিতে শাহরুখ দেব শরণের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। তাঁর ছেলে খেলাধুলা না বেছে সঙ্গীত বেছে নেওয়ায় সে সর্বদা তাঁকে কটু কথা শোনাত। অপরদিকে সেই আবার নিজের স্ত্রী এবং ছেলেকে ছেড়ে পরকীয়ায় লিপ্ত হয়ে পড়েছিলেন।
‘উড়ান’ ছবির ভৈরব সিং (Bhairav Singh)- বলিউডের নামী অভিনেতা রণিত রায় ‘উড়ান’এ ভৈরব সিংয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। ভৈরব ছিলেন অত্যন্ত স্বার্থপর একজন মানুষ যিনি নিজের জীবনের যাবতীয় ক্ষোভ তাঁদের সন্তানদের ওপর বের করতেন।
‘নিঃশব্দ’ ছবির বিজয় আনন্দ (Vijay Anand)- এক ছবিতে এক সন্তানের পিতা হয়েছিলেন অমিতাভ বচ্চন। তবে সে শেষ পর্যন্ত মেয়ের বান্ধবীর প্রেমে পড়ে যায়। এমনকি সেই প্রেম পাওয়ার জন্য বিজয় নিজের স্ত্রী এবং একমাত্র মেয়ের জীবনও সংকটের সামনে ফেলতে রাজি হয়ে গিয়েছিল।
‘৩ ইডিয়টস’ ছবির বীরু সহস্ত্রবুদ্ধি (Viru Sahastrabuddhi)- আমির খান, আর মাধবন, শরমন যোশী অভিনীত এই ছবিতে বীরুরু চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন বোম্যান ইরানি। তাঁর চরিত্রটি এমন ছিল যার কাছে সবচেয়ে জরুরী ছিল নিজের জেদ। সেই জেদের কারণেই শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিল তাঁর একমাত্র ছেলে।
‘তারে জমিন পর’ ছবির নন্দকিশোর অবস্তি (Nandkishore Awasthi)- আমির খান, দর্শিল সাফারি অভিনীত এই ছবিটি বলিউডের ইতিহাসের অন্যতম সেরা সিনেমা। সেই ছবিতে দর্শিলের পিতার নাম ছিল নন্দকিশোর অবস্তি।
সে নিজের ছোট ছেলেকে বোঝার পাশপাশি তাঁকে ক্রমাগত বকা এবং মারধর করতেন। এরপর তাঁকে বোর্ডিং স্কুলে পাঠিয়ে দেন। এমনকি ছেলের শিক্ষক (আমির খান) ছেলের অবস্থার বিষয়ে তাঁকে জানাতে এলেও সে তাঁকে অপমান করেছিলেন।