বলিউডের (Bollywood) অন্যতম নামী অভিনেতাদের মধ্যে একজন হলেন ধর্মেন্দ্র (Dharmendra)। তিনি একজন অভিনেতা, চলচ্চিত্র নির্মাতা এবং রাজনীতিবিদ। বলিউডের ‘হি ম্যান’ হিসেবে খ্যাত এই অভিনেতা নিজের কেরিয়ারে ৩০০’রও বেশি সিনেমায় কাজ করেছেন। বিনোদন দুনিয়ায় নিজের অবদানের জন্য ১৯৯৭ সালে ফিল্মফেয়ার লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিলেন তিনি।
এরপর ২০১২ সালে তাঁকে ‘পদ্ম ভূষণ’ সম্মানে ভূষিত করেছিল ভারত সরকার। তবে আপনি কি জানেন, শুধুমাত্র ধর্মেন্দ্রই নন, সুপারস্টার ছিলেন তাঁর ভাইও। তবে মাত্র ৪০ বছর বয়সেই প্রাণ হারান অভিনেতা। শ্যুটিং চলাকানীনই গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল অভিনেতাকে। ধর্মেন্দ্রর ভাইয়ের নাম হল, বীরেন্দ্র সিং দেওল (Virendra Singh Deol)।
ধর্মেন্দ্র এবং বীরেন্দ্র নিজের ভাই ছিলেন না। তবে তাঁদের মধ্যে ছিল দারুণ ভালোবাসা। অভিনেতা হিসেবেও প্রায় একসঙ্গেই যাত্রা শুরু হয়েছিল দু’জনের। ‘হি ম্যান’ ধর্মেন্দ্র যেমন একদিকে বলিউড কাঁপাচ্ছিলেন, তেমনই তাঁর ভাই তখন পাঞ্জাবি ইন্ডাস্ট্রিতে রাজত্ব করছিলেন।
তবে বীরেন্দ্র অবশ্য শুধুমাত্র পাঞ্জাবি ইন্ডাস্ট্রিতেই নয়, বলিউডেও কাজ করেছেন। ‘খেল মুকদ্দর কা’, ‘দো চেহরে’র মতো ছবিতে কাজ করেছেন তিনি। দাদা ধর্মেন্দ্রর সঙ্গে ‘তেরি মেরি এক জিন্দা’ ছবিতে কাজ করেছিলেন বীরেন্দ্র।
একদিকে যেমন বীরেন্দ্রর সাফল্য এবং জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছিল, তেমনই বাড়ছিল তাঁর শত্রুর সংখ্যাও। ১৯৮৮ সালের ৬ ডিসেম্বর ‘জাট তে জমিন’ ছবির শ্যুটিং চলাকালীন গুলি করা হয় তাঁকে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, পাঞ্জাবে সেই সময় দুষ্কৃতীদের বাড়বাড়ন্ত প্রচণ্ড বৃদ্ধি পেয়েছিল। গুলি করে খুন করার বিষয়টি খুব সাধারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। শোনা যায়, বারণ করা সত্ত্বেও বীরেন্দ্র শ্যুটিংয়ে গিয়ে খুন হয়েছিলেন।
পাঞ্জাবি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির ধর্মেন্দ্রর মৃত্যুর কয়েক দশক পর অভিনেতার ছেলে রণদীপ তাঁর ওপর একটি বায়োপিক তৈরি করেছেন। সেখানে ধর্মেন্দ্র এবং ওনার ছেলে ববি দেওলও রয়েছেন। সেই সিনেমাতেই বীরেন্দ্রর জীবনের নানান অজানা কাহিনী তুলে ধরা হবে।