পুজোর কাউন্টডাউন কিন্তু শুরু হয়ে গিয়েছে। এইভাবেই দেখতে দেখতেই হুড়মুড়িয়ে এসে পড়বে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো। সামনের মাসেই অর্থাৎ সেপ্টেম্বরের শেষের দিকেই আসছে মহালয়া (Mahalaya)। এখন থেকেই বৃষ্টির ফাঁকে ফাঁকেই উঁকি দিচ্ছে নীল সাদা মেঘ। চারপাশের বাতাসে একটা পুজো পুজো গন্ধ পেতে শুরু করেছেন আপামর বাঙালি।
প্রতিবছর মহালয়া দিয়ে শুরু হয় পুজোর গৌড়চন্দ্রিকা। প্রত্যেক বছর মহালয়ার ভোরে ঘুমকাতুরে বাঙালিরও ঘুম ভেঙে যায় ভোর চারটের সময়। খানিকটা পুরোনো অভ্যেসেই ধুলো ঝাড়া রেডিওতে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের গলায় ‘মহিষাসুরমর্দিনী’ না শোনা পর্যন্ত মহালয়ার সকালটাই যেন অসম্পূৰ্ণ থেকে যায় বাঙালির। রেডিওতে মহালয়া শেষ হতে না হতেই টিভিতে শুরু হয়ে যায় বাংলা ইন্ডাস্ট্রির তাবড় অভিনেত্রীদের দুর্গা (Durga) সাজার পালা।
কে সবচেয়ে সেরা দুর্গা, এই নিয়েইচলে কড়া টক্কর। এখনো পর্যন্ত একমাত্র কালার্স বাংলার তরফেই আনুষ্ঠানিকভাবে মহালয়ার দুর্গা ঘোষণা করা হয়েছে। জানা যাচ্ছে এবছর এই চ্যানেলের মহালয়ায় দুর্গার রূপে দেখা যাবে টলিউড অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে। অন্যদিকে গতবারের মতো এবারও জি বাংলায় দেবী দুর্গা রূপে দেখা যাবে টলি অভিনেত্রী শুভশ্রী গাঙ্গুলিকে (Subhashree Ganguly)।
একথা নিজের মুখেই স্বীকার করে নিয়ে এ প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেছেন ছোটবেলায় তিনি মহালয়া দেখে ভাবতেন দুর্গা হবেন। মা দুর্গা তার প্রার্থনা শোনায় তিনি এতবার দুর্গা হতে পেরেছেন বলেই মনে করেন শুভশ্রী। মা হওয়ার আগেও শুভশ্রীকে দেবী দুর্গারূপে দেখা গিয়েছিল। তবে মা হওয়ার পর এই নিয়ে পরপর দুবার জি বাংলায় দুর্গা হচ্ছেন অভিনেত্রী।
প্রথমে জানা গিয়েছিল জি বাংলায় দুর্গা হবেন সকলের প্রিয় মিঠাই অভিনেত্রী সৌমিতৃষা কুন্ডু (Soumitrisha Kundu)। কিন্তু পরে জানা যায় সমস্তটাই ছিল জল্পনা। তবে মিঠাইকে দেবী দুর্গারূপে না দেখা গেলেও দুর্গার কোন এক বিশেষ রূপে দেখা যাবে তাকে। শোনা যাচ্ছে খুব সম্ভবত গৌরী রূপে দেখা যাবে সৌমিতৃষাকে।
জানা যাচ্ছে জি বাংলার মহালয়াতে মহাদেবের ভূমিকায় দেখা যাবে যমুনা ঢাকির সঙ্গীত অভিনেতা রুবেল রায়কে। আর পার্বতী রূপে দেখা যাবে যমুনা ঢাকি অভিনেত্রী শ্বেতা ভট্টাচার্যকে। অন্যদিকে অসুররূপে কোনো অভিনেতা নয় দেখা যাবে কোনো নৃত্যশিল্পীকে। অন্যদিকে জানা যাচ্ছে স্টার জলসায় দেবী দূর্গা হওয়ার প্রস্তাব গিয়েছে টেলি অভিনেত্রী সোনামনি সাহার কাছে।