টলিউডের প্রথম সারির অভিনেত্রীদের মধ্যে অন্যতম হলেন রচনা ব্যানার্জি (Rachna Banerjee) । দীর্ঘদিনের অভিনয় জীবনে একের পর এক তিনি উপহার দিয়েছেন সুপারহিট সব বাংলা সিনেমা। গোটা বাংলা জুড়ে টলিউডের এই প্রথমসারির অভিনেত্রীর (Tollywood Actress) অনুরাগীর সংখ্যা নেহাত কম নয়।অসংখ্য মানুষের অনুপ্রেরণা তিনি।
তবে একটা সময় ছিল যখন শুধু বাংলা নয় পাশাপাশি একসময় অভিনয় করেছেন বলিউডেও। জুটি বেঁধেছিলেন স্বয়ং বলিউড শহেনশা অমিতাভ বচ্চনের সাথেও। তবে শুধুমাত্র বাংলা কিংবা হিন্দি ছবিতেই নয় রচনা অভিনয় করেছেন ওড়িয়া, এবং দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির সিনেমাতেও। স্ক্রিন শেয়ার করেছেন দক্ষিণী সুপারস্টার চিরঞ্জিত,এবং উপেন্দ্রর সাথেও।
প্রসঙ্গত নব্বইয়ের দশকে বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় জুটিদের মধ্যে অন্যতম রচনা ব্যানার্জি এবং প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের জুটি। তারা একসাথে জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন মোট ৩৫ টি সিনেমায়। জানা যায় অভিনয়ে আসার আগে রচনার নাম ছিল ঝুমঝুম। পরবর্তীতে বিখ্যাত অভিনেতা সুখেন দাস (Sukhen Das) তাঁর নাম দিয়েছিলেন রচনা।
আর আজ তিনিই গোটা বাংলার ‘দিদি নম্বর ওয়ান’। সিনেমার থেকে কোনো অংশে কম নয় অভিনেত্রীর ব্যক্তিগত জীবন। বিয়ে থেকে সংসার একসময় জীবনের নানান চড়াই উৎরাই-এর সম্মুখীনহয়েছেন অভিনেত্রী। ২০০৪ সালে ওড়িয়া অভিনেতা সিদ্ধার্থ মহাপাত্রের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন নায়িকা। কিন্তু বছর ঘুরতেই ভেঙে যায় সেই বিয়ে। এরপর ২০০৬ সালে প্রবল বসুকে বিয়ে করেন রচনা। তাঁদের এক ছেলেও রয়েছে তার নাম প্রনীল বসু।
যদিও অভিনেত্রীর দ্বিতীয় বিয়ের অভিজ্ঞতাও ভালো নয়। তবে এখনও পর্যন্ত প্রবাল বসুর সাথে আইনি বিচ্ছেদ হয়নি রচনার। একবার অভিনেতা শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের ‘অপুর সংসার’এ অভিনেত্রীকে প্রশ্ন করা হয়েছিল,কি করলে রচনা একজন সুগৃহিণী-তে হতে পারতেন? উত্তরে অভিনেত্রী বলেছিলেন হয়তো কম্প্রোমাইজ করতে পারলে তিনিও একজন ভালো স্ত্রী হতে পারতেন।
তাই অভিনয় জগতের সাথে যুক্ত অভিনেত্রীদের উদ্দেশ্যে রচনার পরামর্শ তাকেই বিয়ে করা উচিত যে তার পেশাটাকে বুঝবেন। আসলে অভিনেত্রীর কথায় আর পাঁচটা পেশার তুলনায় অভিনয় পেশাটা একেবারে আলদা। রচনার কথায় ‘অনেক অ্যাডজাস্ট করতে হয়। যারা অভিনয় করেন তাদের অভিনয় জগতের মানুষের সঙ্গে বিয়ে করা উচিত। অথবা এই পেশাকে বুঝবেন এমন মানুষকে বিয়ে করা উচিত’।