সাম্প্রতিক অতীতে বলিউডের (Bollywood) একাধিক সিনেমা বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়েছে। সম্প্রতি সেই তালিকায় নাম তুলেছে অক্ষয় কুমার অভিনীত ‘রক্ষা বন্ধন’ এবং আমির খান অভিনীত ‘লাল সিং চাড্ডা’। তবে সিনেমা ফ্লপ হলেও অভিনেতা-অভিনেত্রীরা (Actors) কিন্তু পারিশ্রমিক (Fees) হিসেবে কয়েক কোটি টাকা ঘরে তুলে নিচ্ছেন।
সম্প্রতি যেমন জানা গিয়েছে, ‘লাল সিং চাড্ডা’ ফ্লপ হলেও, মুখ্য চরিত্র অভিনয় করে সুপারস্টার আমির খান কোটি টাকার মোটা অঙ্ক পারিশ্রমিক হিসেবে নিয়েছেন। এদিকে কপালে হাত পড়েছে ছবির নির্মাতারা। কারণ ছবির তৈরির টাকাটাও ‘ফরেস্ট গাম্প’এর হিন্দি রিমেক তুলতে পারবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
এবার বলিউডের এই দিক নিয়েই মুখ খুলেছেন একাধিক চলচ্চিত্র বিশেষজ্ঞ। তাঁদের মতে, বলিউডের অভিনেতা-অভিনেত্রীদের পারিশ্রমিকের যে কাঠামো রয়েছে। তাতে বদল আনা উচিত। একটি সিনেমা করে কেউ ৫০ কোটি, কেউ ১০০ কোটি যে নিচ্ছেন, সেই নিয়মে এবার বদল আনা উচিত। কারণ তাঁদের পিছনেই ছবি তৈরির অনেকটা টাকা চলে যাচ্ছে। এবার যদি, সেই অঙ্কটা কিছুটা কমানো যায়, তাহলে নির্মাতারাও কিছুটা স্বস্তি পাবেন।
সম্প্রতি এই বিষয়ে মুখ খুলেছেন জনপ্রিয় ট্রেড অ্যানালিস্ট কোমল নাহতা। তিনি বলেন, ‘অভিনেতাদের পারিশ্রমিকের কাঠামো পরিবর্তন অবশ্যই হওয়া উচিত। বেশিরভাগ সময় ফিল্ম প্রোডাকশনের ৩০-৪০ শতাংশ টাকা অভিনেতাদের পিছনে খরচ হয়। যদি এই তারকারা কিছুটা হলেও এই বিষয়টি না বোঝেন, তাহলে আদতে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিরই ক্ষতি হবে’।
বলিউডের নামী পরিচালক মুকেশ ভাট এই প্রসঙ্গে যেমন বলেছেন, ‘ওপেনিং ডে’তে যা টাকা আয় হবে তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তারকাদের পারিশ্রমিক নেওয়া উচিত। যদি ছবি ভালো ব্যবসা করে, তাহলে তাঁরাও ভালো পারিশ্রমিক নেবেন। তবে ছবি যদি বক্স অফিসে ফ্লপ হয়, সেক্ষেত্রে তারকারা টাকা নিয়ে চলে যাবেন এবং প্রযোজক যাবতীয় দায়িত্ব নিয়ে একা চাপে পড়ে যাবেন, এটা একেবারেই হওয়া উচিত নয়’।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক বলিউডের এক নামী প্রযোজকও এই বিষয়ে মুখ খুলেছেন। তাঁর মতে, ‘অভিনেতারা যদি ১০-২০ কোটি টাকা কম নেন, তাহলে আমাদের ক্ষতিটাও একটু কম হয়’।