আজ ১৫ আগস্ট, সারা দেশ জুড়ে ৭৫তম স্বাধীনতা দিবস (Independence Day) উদযাপন করা হচ্ছে। সকাল থেকেই স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা বিনিময় পর্বও শুরু হয়ে গিয়েছে। সংবাদপত্রের পাতা থেকে টেলিভিশনের পর্দা- সবকিছুতেই আজ যেন দেশপ্রেমের ছোঁয়া।
দেশপ্রেমের কথা উঠলে, এক্ষেত্রে সিনেমার কথাও বলতেই হয়। কারণ ভারতীয় চলচ্চিত্রের (Indian Cinema) ইতিহাসে এমন বহু সিনেমা তৈরি হয়েছে যার মূল বিষয়ই হল দেশপ্রেম (Patriotic movies)। বলাই বাহুল্য, দর্শকদের মনে দাগ কেটেছে সেই সিনেমাগুলি এবং তাঁদের ইমপ্রেসও করেছে।
দেশপ্রেমমূলক ছবির কথা বলা হলে, সিনেমার ইতিহাসে একাধিক দেশপ্রেমমূলক ছবি যেহেতু তৈরি হয়েছে, সেই কারণে এগুলির ধরণও বেশ আলাদা। কোনও সিনেমায় খুব শান্ত ধরণে দেশপ্রেমের উদাহরণ দেখানো হয়েছে। যেমন, ‘রাজি’ কিংবা ‘গুঞ্জন সাক্সেনা’। আবার কিছু কিছু সিনেমায় ‘লাউড’ দেশপ্রেমের উদাহরণ দেখানো হয়েছে। যেমন, ‘সম্রাট পৃথ্বীরাজ’, কিংবা ‘আরআরআর’।
‘রাজি’র কথা বলা হলে, মেঘনা গুলজার পরিচালিত এই সিনেমায় মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন ভিকি কৌশল এবং আলিয়া ভাট। ভারতীয় গুপ্তচরের চরিত্রে দেখা গিয়েছিল মহেশ কন্যাকে এবং ভিকি অভিনয় করেছিলেন পাকিস্তানি আর্মি অফিসারের চরিত্রে। এটি বলিউডের এমন একটি ছবি, যেখানে ভারতের তো বটেই, পাকিস্তানের সেনা পরিবারকেও খুব ‘সেন্সিটিভ’ভাবে দেখানো হয়েছে। ভিকির পরিবারের মাধ্যমে দেখানো হয়েছিল, পাকিস্তানি সেনারাও কিন্তু সব সময় খারাপ হন না।
তবে এমন সিনেমা দেখে দেশপ্রেম জাগলেও, বুক চাপরে দর্শকরা চিৎকার হয়তো করবেন না। এই জন্য ভিন্ন ঘরানার সিনেমা হয়। যে তালিকায় নাম রয়েছে, ‘শেরশাহ’, ‘সম্রাট পৃথ্বীরাজ’, ‘আরআরআর’এর মতো ছবির।
রাম চরণ, জুনিয়র এনটিআর, আলিয়া ভাট, অজয় দেবগণ অভিনীত দেশপ্রেমমূলক ‘আরআরআর’ যেমন বক্স অফিসে ঝড় তুলেছিল। ‘পুষ্পা’, ‘কেজিএফ’এর রমরমা বাজারেও দর্শকদের ইমপ্রেস করেছিল এই সিনেমা। সবশেষে বলা যায়, দশকের পর দশক ধরে ভারতীয় সিনেমায় একাধিক দেশপ্রেমমূলক সিনেমা তৈরি হয়েছে। তবে প্রত্যেক সিনেমায় প্রদর্শিত দেশপ্রেমের ধরণ আলাদা। কোনও ছবি দেখে হয়তো দর্শকরা সিনেমা হলেই লাফিয়ে উঠবেন। আবার কোনও ছবি দেখে সেই স্থানে কিছুক্ষণ চুপচাপ বসেও থাকতে পারেন। তবে অনুভূতির বহিঃপ্রকাশের ধরণ যেমনই হোক না কেন, এমন ধরণের সব সিনেমার শেষ জয় যে শেষ পর্যন্ত দেশপ্রেমেরই হয়, একথা অস্বীকার করার কোনও উপায় নেই।