বলিউডে নেপোটিজম (Nepotism in Bollywood) বিতর্ক নিয়ে কম কথা হয়নি। এটি এমন একটি বিষয় যা নিয়ে বছরের পর বছর ধরে চর্চা চলে আসছে। বাইরে থেকে আসা অভিনেতা-অভিনেত্রীরা যেমন এর বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন, তেমনই আবার স্টারকিড অনেক সময়ই এই বিতর্কে মুখে কুলুপ এঁটে রেখেছেন। আবার কিছু কিছু সময় সাফাই গাইতে গিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছেন।
ঠিক এমনটাই হয়েছে বর্ষীয়ান অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুরের পুত্র, তথা অভিনেতা সইফ আলি খানের (Saif Ali Khan) সঙ্গে। নেপোটিজম বিতর্কে মতামত রাখতে গিয়ে একবার চরম বিবাদে জড়িয়েছিলেন অভিনেতা। তাঁর বক্তব্য শুনে হাসির রোল উঠেছিল নেটপাড়ায়।
ঘটনাটি ২০১৮ সালের, এক সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় সইফ স্টারকিডদের কাস্ট করা প্রযোজকদের স্বপক্ষে মুখ খুলেছিলেন। সেখানে অভিনেতা বলেছিলেন, ‘আমি ঠিক কী বলতে চেয়েছি অনেক মানুষই বোঝেননি। আমি আবারও বলছি, যে সমল প্রযোজকরা স্টারকিডদের সুযোগ দেয়, তাঁরা একপ্রকার জুয়া খেলে। যে তাঁর পিতার মতোই এও সবকিছু জানবে। যদি তুমি অমিতাভ বচ্চন বা ধর্মেন্দ্রর ছেলের কথা ভাবো, তাহলে তুমি ভাববে ওঁরাও একরকম অভিনয় করবে। তাই এটা একপ্রকার জেনেটিকসের ওপর জুয়া খেলা, প্রতিভার ওপর নয়’।
সইফ এরপর উদাহরণ হিসেবে তাঁর ঠাকুরদা এবং পিতার কথা বলেন। অভিনেতা বলেন, তাঁর দাদু একজন দারুণ ক্রিকেটার ছিলেন। তাঁর পিতাও সেই গুণ পেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি আবার ক্রিকেট খেলতে পারতেন না। তাই এক্ষেত্রে জেনেটিকস কাজে আসেনি।
তবে শুধুমাত্র সেইবারই প্রথম নয়, এর আগে ২০১৭ সালে আইফা’র মঞ্চে ‘নেপোটিজম রকস’ জোক বলে চরম বিতর্কে জড়িয়েছিলেন শর্মিলা পুত্র। তবে এরপর সেই বিতর্ক থামানোর জন্য একটি নামী সংবাদমাধ্যমে খোলা চিঠি লিখেছিলেন অভিনেতা।
সইফ বলেছিলেন, ‘হ্যাঁ, আমি হয়তো আমার মায়ের (বর্ষীয়ান অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুর) জন্য কাজের সুযোগ পেয়েছিলাম। কিন্তু সেটাও জেনেটিকস, নেপোটিজম নয়। একজন প্রযোজক জিনের ওপর নিজের টাকা বিনয়োগ করেছিলেন’। অভিনেতার মতে, বলিউডে নেপোটিজমের অস্তিত্ব থাকতেই পারে না। এখানে সবাইকে সমান সুযোগ দেওয়া হয়।