নম্বর ওয়ান দেশপ্রেমিক তিনি। ভারতের জন্য সব কিছু করতে পারেন। সেই অক্ষয় কুমারের (Akshay Kumar) নাগরিকত্ব নিয়ে বহুবার প্রশ্ন উঠেছে। কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে অভিনেতার দেশপ্রেমকেও। তবে এবার যে সংবাদ সামনে এসেছে তা হয়তো সত্যিই বলিউডের ‘খিলাড়ি’র দেশপ্রেম নিয়ে প্রশ্ন তোলার জন্য যথেষ্ট।
অক্ষয় কুমারের কাছে যে ভারতের নয়, বরং কানাডার পাসপোর্ট আছে, একথা অনুরাগীদের অজানা নয়। মাঝেমধ্যেই নেটদুনিয়ায় এজন্য ট্রোল হতে হয়েছে তাঁকে। বিশেষত যখন দেশপ্রেমমূলক কোনও কিছু সামনে এসেছে, তখন তো তাঁর নাগরিকত্ব (Citizenship) নিয়ে প্রচুর প্রশ্ন উঠেছে।
নিজের নাগরিকত্ব নিয়ে চলতে থাকা এই বিতর্ক নিয়ে এবার মুখ খুলেছেন অভিনেতা নিজে। সম্প্রতি একটি নামী সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপচারিতার সময় এই বিষয়ে কথা বলেছেন বলিপাড়ার ‘খিলাড়ি’। জানিয়েছেন, একের পর এক সিনেমা ফ্লপ হওয়ার পর ভারত ছেড়ে কানাডায় যাওয়ার কথা ভেবেছিলেন তিনি।
অক্ষয় বলেন, ‘আমি একজন ভারতীয়। আমি ভারতবাসী এবং চিরকাল সেটাই থাকব। কয়েক বছর আগে, আমার সিনেমা চলছিল না। তাই অন্য কোথাও চলে গিয়ে সেখানে কোনও কাজ খোঁজার কথা আমার মনে হয়েছিল’। অভিনেতা এরপর জানান, তাঁর একজন বন্ধু কানাডায় থাকেন। সেই নাকি তাঁকে সেখানে চলে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন।
‘হেরা ফেরি’, ‘কেশরী’ খ্যাত অভিনেতা বলেন, ‘অনেক মানুষ সেখানে কাজের জন্য যান। কিন্তু তাঁরা এখনও ভারতীয়। তাই আমার মনে হয়েছিল এখানে যদি ভাগ্য সমর্থন না করে, তাহলে আমার কিছু করা উচিত। আমি ওখানে গিয়েছিলাম, (নাগরিকত্বের) আবেদন করেছিলাম এবং পেয়ে গিয়েছিলাম’। তবে কানাডার পাসপোর্ট পাওয়ার পরেই নাকি ফের এক এক করে তাঁর সিনেমাগুলি বক্স অফিসে সফল হতে শুরু করেছিল।
বলিউডের ‘খিলাড়ি’র কথায়, সিনেমা সফল হওয়ার পরেই তিনি দেশ ছাড়ার পরিকল্পনা বাতিল করে দেন। পাশাপাশি এও জানান, কানাডার পাসপোর্ট থাকলেও, তিনি ভারতেই ট্যাক্স দেন। এদেশের উন্নতির জন্যই এই কাজ করেন তিনি। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে এক সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপচারিতার সময় অক্ষয় জানিয়েছিলেন, তিনি ভারতের পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেছেন।
অক্ষয়ের কাজের দিক থেকে বলা হলে, চলতি বছর অভিনেতার একটি সিনেমাও বক্স অফিসে সফল হয়নি। ‘বচ্চন পাণ্ডে’, ‘সম্রাট পৃথ্বীরাজ’ মুখ থুবড়ে পড়ার পর এবার ‘রক্ষা বন্ধন’ও চূড়ান্ত ফ্লপ হয়েছে। পরপর তিন সিনেমা ফ্লপ হওয়ার পর ‘খিলাড়ি’ কীভাবে কামব্যাক করেন এবার সেটাই দেখার।