আর মাত্র হাতে গোনা কয়েকদিনের অপেক্ষা। এরপরই শুরু হয়ে যাবে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গা পূজা (Durga Puja)। এই মুহূর্তে সেই অপেক্ষাতেই দিন গোনা শুরু করে দিয়েছেন প্রত্যেক বাঙালি। তবে দুর্গা পূজার আগে পিতৃপক্ষের শেষ দিন এবং মাতৃপক্ষের শুরুর দিন মহালয়া (Mahalaya) হিসেবে উদযাপিত হয়। প্রায় প্রত্যেক বাঙালির বাড়িতে সেদিন ভোরে বাজতে থাকে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের দেবী বন্দনা।
তবে এখনকার টেলিভিশনের যুগে শুধুমাত্র রেডিওয় বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের দেবী বন্দনাই নয়, বরং টিভির পর্দাতেও চলতে থাকে মহিষাসুরমর্দিনী নামে দেবী বন্দনা। সম্প্রতি যেমন বাংলার জনপ্রিয় চ্যানেল কালার্স বাংলা (Colors Bangla) তাদের মহিষাসুরমর্দিনীর প্রোমো প্রকাশ্যে এনেছে।
সেখানে দুর্গা বেশে দেখা গিয়েছে, টলিউডের নামী সুপারস্টার ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে (Rituparna Sengupta)। আর ব্যাস, তাতেই চটে লাল হয়ে গিয়েছেন দর্শকদের একাংশ। সামাজিক মাধ্যমে চ্যানেলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন তাঁরা। একের পর এক কমেন্টে একেবারে ভরে গিয়েছে সেই প্রোমোর কমেন্ট বক্স।
দুর্গা বেশে ঋতুপর্ণাকে যে অসাধারণ দেখতে লাগছে, একথা অস্বীকার করার কোনও উপায় নেই। সেই সঙ্গে তাল মিলিয়ে রয়েছে ভিস্যুয়াল গ্রাফিক্সও। কিন্তু তা একেবারেই ভালো লাগেনি নেটিজেনদের একাংশের। তাঁদের দাবি, যেখানে পায়েল দে চ্যানেলের সঙ্গে রয়েছেন, সেখানে তাঁকে বাদ দিয়ে কেন ঋতুপর্ণাকে দেবী দুর্গা হিসেবে নেওয়া হল!
View this post on Instagram
ঋতুপর্ণা এবং চ্যানেলকে কটাক্ষ করে একাধিক কমেন্ট করেছেন দর্শকরা। একজন যেমন লিখেছেন, ‘ঠিকই আছে, দিন দিন দুর্গার বয়স হচ্ছে। কি আর করা যাবে বয়স্ক দুর্গা নিয়েই থাকতে হবে। রাজ্যে ভালো ড্যান্সার ভালো অ্যাকট্রেস এর ঘাটতি পড়েছে কিনা!’ আর একজন আবার লিখেছেন, ‘কালার্স বাংলার সবথেকে খারাপ যদি কিছু থেকে থাকে তাহলে হল এটা’।
আর একজন তো আবার কটাক্ষ করে দুর্গা হিসেবে বলিউড অভিনেত্রী করিনা কাপুর খানকে নেওয়ার কথা বলেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘করিনা কাপুর কে নিতে পারতো। যত্তসব আর কোনো শিল্পী ছিল না… পায়েল দে কত সুন্দর লাগে এই চরিত্রতে…’।