দিনে দিনে দর্শকমহলে বেড়েই চলেছে বাংলা সিরিয়ালের চাহিদা। দর্শকদের এই চাহিদা পূরণ করতেই নিত্য নতুন সিরিয়ালের লাইন লাগিয়ে দিচ্ছে বিনোদনমূলক চ্যানেলগুলো। আর এখন সব সিরিয়ালে টিআরপি (TRP)-ই শেষ কথা। তাই এই টিআরপি-র ওপর নির্ভর করে যে কোন সিরিয়ালের আয়ু। তাই টিআরপি তলানিতে ঠেকলেই অল্প দিনের মধ্যেই শেষ করে দেওয়া হচ্ছে সেই সিরিয়াল।
এই কারণে ইতিমোধ্যেই স্টার জলসার পর্দায় শেষ হয়েছে একের পর এক সিরিয়াল।না পরিবর্তে এসেছে এক ঝাঁক নতুন সিরিয়াল। তার মধ্যে অন্যতম একটি হলো ‘বরণ’ (Baran)। এই সিরিয়ালে তিথি (Tithi) চরিত্রে অভিনয় করে অল্পদিনেই দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছেন অভিনেত্রী ইন্দ্রানী পাল (Indrani Paul)। আগেই জানা গিয়েছে নতুন করে দর্শকদের মনোরঞ্জন করতে ‘নবাব নন্দিনী’ (Nabab Nandini) সিরিয়ালে নন্দিনী (Nandini) হয়ে আবার পর্দায় ফিরতে চলেছেন ইন্দ্রানী (Indrani)।
এই সিরিয়ালের হাত ধরেই পর্দার তিথি এবার ফিরেছেন নন্দিনী হয়ে। প্রথম ঝলকেই তাকে দেখে মনে হয়েছে সে কোন সাধারণ মধ্যবিত্ত বাঙালি পরিবারের মেয়ে। প্রথম সিরিয়াল বরণের হাত ধরেই দর্শকমহলের বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছেন অভিনেত্রী। শুরু থেকেই নিজের কাজটাকে বড্ড ভালোবাসেন অভিনেত্রী। তাই প্রথম সিরিয়াল শেষ হওয়ার পরেই আর বেশি দিন অপেক্ষা করতে চাননি তিনি।
তাই অল্পদিনের ব্রেক নিয়েই ফিরতে চেয়েছিলেন পর্দায়। আর নতুন সিরিয়াল ‘নবাব নন্দিনী’র হাত ধরে সেই সুযোগও পেয়ে যান অভিনেত্রী। গোতজেল অর্থাৎ ৮ আগস্ট থেকে শুরু হয়েছে এই সিরিয়াল। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ইন্দ্রানী জানিয়েছেন স্ক্রিপ্ট শোনার পর চরিত্রটা তার এতটাই পছন্দ হয়েছিল যে সেই সুযোগ একেবারেই হাতছাড়া করেননি তিনি। আদতে পুরুলিয়ার বাসিন্দা, ইন্দ্রানীর ছোট থেকেই স্বপ্ন ছিল অভিনেত্রী হওয়ার।
কিন্তু একটা সময় ছিল যখন বাবা মাকে ছেড়ে কোনদিন পুরুলিয়ার বাইরে বাইরে কোথাও পা রাখেনি অভিনেত্রী। কিন্তু মনে মনে অভিনেত্রী হওয়ার জেদটা তার ছিলই। তাই ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সুযোগটাকে কাজে লাগিয়েই প্রথমবার কলকাতার পা রেখেছিলেন ইন্দ্রানী। আসলে তার বাবা চাইতেন না তিনি পুরুলিয়ার বাইরে অন্য কোথাও গিয়ে কাজ করুন। তাই পড়াশোনার চার বছর ছিল অভিনেত্রীর কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ওই সময়টাকে কাজে লাগিয়েই তিনি অভিনয় জগতে নিজের জায়গা তৈরি করার দিকে মন দিয়েছিলেন। অল্প দিনেই সেই সুযোগও পেয়ে যান তিনি। তাই প্রথম দিকে রাজি না হলেও এখন তার অভিনয় এবং তার কাজ দেখে তার বাড়ির লোকজন খুব খুশি বলেই জানিয়েছেন ইন্দ্রানী। তবে বাড়ির সবাইকে ছেড়ে প্রথম প্রথম কলকাতা এসে খুবই কষ্ট হতো বলে জানিয়েছেন অভিনেত্রী। বাজার ঘাট থেকে শুরু করে সমস্ত কাজ সবকিছু একা হাতে করতে হট। তখন বাড়ির কথা ভেবে মাঝে মধ্যে কেঁদেও ফেলতেন বলে জানিয়েছেন তিনি।