বলিউডের সিনেমা মানেই সেটি বিনোদনের উৎস। কখনও সেটি আমাদের প্রাণ খুলে হাসায়, আবার কখনও কখনও অনেক সিনেমা দেখে চোখের জল বাঁধ মানতে চায় না। আজকের এই প্রতিবেদনে বলিউডের (Bollywood) এমন ৫ সিনেমার (Emotional movie) নাম তুলে ধরা হল, যা দেখে চোখের জল আটকানো মুশকিল হয়ে পড়ে। শক্ত থেকে শক্ত মানুষের দু’চোখ দিয়েও গড়িয়ে পড়তে থাকে অশ্রুধারা।
আনন্দ (Anand) – বর্তমান সময়ের অনেক দর্শকই এই ছবিটি হয়তো দেখেননি। তবে ১৯৭১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই ছবিটি বলিউডের অন্যতম সেরা ইমোশনাল সিনেমা। এই ছবিতে অভিনয় করেছিলেন বলিপাড়ার দুই সুপারস্টার রাজেশ খান্না এবং অমিতাভ বচ্চন। মৃত্যু পথযাত্রী এক ব্যক্তি যিনি নিজের শেষ সময়টুকু আনন্দে কাটাতে চান, সেই কাহিনীর ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে এই সিনেমা।
বাগবান (Baghban) – অমিতাভ বচ্চন, হেমা মালিনী অভিনীত এই সিনেমা আমাদের সমাজের এক কঠিন বাস্তবকে দেখিয়েছিল। এই ছবিতে দেখানো হয়েছিল, কীভাবে সন্তানদের জন্য জীবনের শেষ বয়সে এসে আলাদা হয়ে গিয়েছিলেন বৃদ্ধ স্বামী-স্ত্রী। কারণ মা-বাবাকে একসঙ্গে রেখে কোনও সন্তানই সেবা করতে চায় না। এই ছবির ‘ম্যায় ইয়াহা তু ওয়াহা’ ছবির গানটি এখনও দর্শকদের মনে গেঁথে রয়েছে।
কাল হো না হো (Kal ho na ho) – ২০০৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই সিনেমা দেখলে চোখের জল আটকানো সত্যিই কঠিন হয়ে পড়ে। শাহরুখ খান, প্রীতি জিন্টা এবং সইফ আলি খান অভিনীত এই সিনেমাটি বলিউডের ইতিহাসের অন্যতম সেরা সিনেমাও বটে। ছবির শেষ দৃশ্যে যখন দেখানো হয় মৃত্যু পথযাত্রী শাহরুখ কীভাবে তাঁর ভালোবাসা প্রীতিকে নিজের থেকে দূরে সরিয়ে রাখতেন, তা দেখে বহু দর্শকের চোখ থেকে গড়িয়ে পড়েছিল জল।
রঙ দে বসন্তি (Rang de basanti) – ২০০৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই সিনেমাটি বলিউডের ইতিহাসের অন্যতম সেরা ইমোশনাল সিনেমার মধ্যে একটি। এই ছবিটি দেখলে দর্শকরা কখনও বোর তো হবেনই না, বরং প্রতি মুহূর্তে তাঁদের নাড়া দেবে এই সিনেমা। দেশপ্রেম নিয়ে তৈরি এই সিনেমা দেখে দর্শকদের চোখের জল আটকানো কঠিন হয়ে পড়ে।
তারে জমিন পর (Taare zameen par) – বলিউড সুপারস্টার আমির খানের কেরিয়ারের অন্যতম সেরা ছবি এটি। ছবিতে তাঁর সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন খুদে দর্শিল সাফারি।
ডিসলেক্সিয়ায় আক্রান্ত এক শিশুর জীবনের কাহিনী দেখানো হয়েছিল এই সিনেমায়। ছোট্ট দর্শিল এবং আমিরের নিখুঁত অভিনয় দেখে বহু দর্শক নিজের চোখের জল আটকে রাখতে পারেননি।