সম্প্রতি এক নয়, দুই নয় একেবারে তিনটি জাতীয় পুরস্কার জিতে নিয়েছে অজয় দেবগণ অভিনীত ‘তানহাজি’ (Tanhaji) ছবিটি। পুরস্কারের মঞ্চে দক্ষিণী ছবির রমরমা বাজারেও সতেরো দশকের মারাঠা ও মুঘল সংঘর্ষের কাহিনীর ওপর ভিত্তি করে তৈরি হওয়া ছবি তিনটি জাতীয় পুরস্কার ঘরে এনেছে। আর এরপর থেকেই সামাজিক মাধ্যমে চরম ট্রোলের শিকার হচ্ছেন সইফ আলি খান (Saif Ali Khan)।
২০২০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই সিনেমা পরিচালনা করেছিলেন ওম রাউত। ছবিতে খলনায়কের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন সইফ। ১১০ থেকে ১৫০ কোটি টাকার বাজেটে নির্মিত এই ছবি বক্স অফিস থেকে ৩৬৮ কোটি টাকা আয় করেছিলেন। দর্শকদের মনে বিশেষ জায়গাও করে নিয়েছিল ইতিহাসের ওপর ভিত্তি করে তৈরি হওয়া এই সিনেমাটি। তবে এই ছবিরই অংশ হয়ে একবার প্রকাশ্যে ছবিটিকে কটাক্ষ করেছিলেন নবাব সইফ।
অভিনেতা দাবি করেছিলেন, ‘তানহাজি’ ছবিতে ভুল তথ্য দেখানো হয়েছে। এই বিষয়ে তিনি শুরুতে কিছু বলেননি। তবে পরে যদি কখনও এমন ঘটনা ঘটে তাহলে অবশ্যই তিনি বিরোধিতা করবেন বলে জানান। পাশাপাশি এও জানিয়েছিলেন, ভবিষ্যতে কখনও ‘তানহাজি’র মতো ভুলে ভরা সিনেমায় তিনি অভিনয় করবেন না।
সইফ আলি খান এই প্রসঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে দাবি করেছিলেন, ব্রিটিশরা যতদিন এদেশে আসেননি, ততদিন পর্যন্ত নাকি ‘ভারত’ বলে কিছুই ছিল না। ওম রাউতের ছবিতে একেবারে ভুলভাল জিনিস দেখানো হয়েছে। আর এবার সইফের কটাক্ষ করা সেই ছবিই এক-দু’টি নয় তিনটি জাতীয় পুরস্কার জিতে নিয়েছে।
চলতি বছর অজয় দেবগণ-কাজল-সইফ অভিনীত ‘তানহাজি’ ছাড়া মাত্র একটি বলিউড সিনেমা জাতীয় পুরস্কার জিতেছে। তা হল, ‘তুলসীদাস জুনিয়র’। বাকি বেশিরভাগ সিনেমা দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির অন্তর্ভুক্ত। আর এই ঘটনার পর থেকেই সামাজিক মাধ্যমে চরম ট্রোলড হচ্ছেন শর্মিলা পুত্র।
নিজেকে ইতিহাসপ্রেমী হিসেবে দাবি করা সইফ নিজেই ঠিক করে দেশের ইতিহাস জানেন না বলে কটাক্ষ করেছেন নেটিজেনদের একাংশ। কেউ কেউ আবার অভিনেতার উদ্দেশে ভারতের পুরনো ম্যাপও সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করে দিয়েছেন। নেটিজেনদের একাংশ আবার বলেছেন, ইতিহাসপ্রেমী হিসেবে নিজেকে দাবি করা সইফের দিক থেকে এমন মন্তব্য আসা খুবই লজ্জাজনক।