বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতাদের মধ্যে একজন ছিলেন মেহমুদ (Mehmood)। নিজের কেরিয়ারে একাধিক জনপ্রিয় সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন তিনি। নিজের অভিনয় দক্ষতার মাধ্যমে অনুরাগীদের একেবারে মুগ্ধ করে দিতেন এই অভিনেতা। তবে একবার সেই মেহমুদের সামনেই তাঁর অটোগ্রাফ (Autograph) ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছিলেন কয়েকজন অনুরাগী। পরে দুঃখ করে সেকথা তিনি বলেছিলেন ধর্মেন্দ্রর (Dharmendra) কাছে। সম্প্রতি অভিনেতার১৮তম মৃত্যুবার্ষিকীর আগে সেকথা ফাঁস করেছেন তিনি।
মেহমুদ এমন একজন অভিনেতা যিনি নিজের কেরিয়ারে ৩০০’এরও বেশি বলিউড ছবিতে কাজ করেছেন। তাঁর সবচেয়ে জনপ্রিয় ছবির তালিকায় নাম আছে, ‘ভুত বাংলা’, ‘গুমনাম’, ‘পড়োশন’, ‘প্যায়ার কিয়ে জা’র মতো ছবির। এই অভিনেতাই ২০০৪ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। শোনা যায়, সেখানে চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলেন মেহমুদ। আর সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর।
সম্প্রতি ধর্মেন্দ্র বলিউডের ইতিহাসের এই কিংবদন্তি অভিনেতার একটি ছবি নিজের সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করে তাঁর জীবনের এই ঘটনা অনুরাগীদের জানিয়েছেন। সানি, ববির পিতা লিখেছেন, ‘মেহমুদের কেরিয়ারের শুরুতে উনি আমায় একটি ঘটনা বলেছিলেন। উনি বিলেন, ‘কিছু লোক আমার কাছে অটোগ্রাফের জন্য এসেছিলেন। আমি মেহমুদ নামে অটোগ্রাফ দিয়েছিলাম। এরপর তাঁরা আমায় অন্যরকমভাবে দেখতে থাকেন এবং বলেন, আমরা তো প্রেম নাথের অটোগ্রাফ নিতে এসেছিলাম। এরপর তাঁরা আমার অটোগ্রাফ ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে চলে যান’।
View this post on Instagram
মেহমুদের যখন বয়স কম ছিল তখন সত্যিই তাঁকে প্রেম নাথের মতো দেখতে লাগত। অনেক অনুরাগী ধর্মেন্দ্রর পোস্টেও সেকথা বলেছেন। একজন যেমন লিখেছেন, ‘আমি ভেবেছিলাম, উনি প্রেম নাথ’। আর একজন আবার লিখেছেন, ‘ধর্মেন্দ্র জি মনে হয় ভুল করে মেহমুদের জায়গায় প্রেম নাথের ছবি শেয়ার করে ফেলেছেন’।
একথা অস্বীকার করার কোনও উপায় নেই, মেহমুদ এবং প্রেম নাথ (Prem Nath) দু’জনেই বলিউডের ইতিহাসের দুই কিংবদন্তি অভিনেতা। তাঁরা দু’জনেই বলিউডের একাধিক সুপারহিট ছবিতে কাজ করেছেন এবং নিজেদের কাজের মাধ্যমে দর্শকদের মন জয় করেছেন।
তবে মেহমুদ এবং প্রেম নাথ কিন্তু একেবারেই এক সময়ের অভিনেতা ছিলেন না। বরং মেহমুদ যখন কেরিয়ার শুরু করেছিলেন তখন প্রেম নাথ একজন নামী অভিনেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন। প্রেম নাথের জনপ্রিয় ছবির তালিকায় নাম রয়েছে, ‘তিসরি মঞ্জিল’, ‘জনি মেরা নাম’, ‘রোটি কপড়া অউর মকান’এর মতো সিনেমার।