শরীরের গড়ন হোক কিংবা পছন্দের পোশাক পরা হোক সেলেবদের ট্রোলিংয়ের মুখে পড়ার বিষয়টি আজকের দিনে আর নতুন নয়। বাংলা ইন্ডাস্ট্রির প্রথম সারির এমনই একজন অভিনেত্রী হলেন স্বস্তিকা মুখার্জী (Swastika Mukherjee)।জনপ্রিয় প্রবাদ ‘বিউটি উইথ ব্রেইন’ কথাটির উপযুক্ত উদাহরণ হলেন স্বস্তিকা। তাছাড়া স্পষ্টবাদী হিসাবে ইন্ডাস্ট্রি তে যথেষ্ট সুনাম রয়েছে অভিনেত্রীর।
তাই বরাবরই সোশ্যাল মিডিয়ায় নেটিজেনদের নিন্দার ধার ধারেন না অভিনেত্রী। বরাবরই তার ছকভাঙা ড্রেসিং সেন্স কিংবা স্টাইল স্টেটমেন্ট হয়ে দাঁড়ায় অনেক মানুষের মাথা ব্যাথার কারণ। তবে কোনোদিনই সেসব পাত্তা দেননি অভিনেত্রী বরং একেবারে নিজের শর্তে জীবনটাকে একেবারে চুটিয়ে উপভোগ করেন অভিনেত্রী।নিজের ফিগার নিয়ে বহুবার মানুষের কটাক্ষের মুখে পড়েছেন অভিনেত্রী।
কেউ তাকে বলেছেন তার শরীর ছিরিছাঁদহীন, আবার কেউ বলেছেন তিনি কার্ভি, আবার অনেকে চর্বির স্তূপ বলে কটাক্ষ করেছেন। তবে উল্টোটাও আছে অনেকেই মনে করেন স্বস্তিকা তাদের কাছে আকর্ষণীয়। আবার ভাবেন আমি আকর্ষণীয়। তবে স্বস্তিকা নিজে কিন্তু নিজের শরীরকে অসম্ভব ভালোবাসেন তাই বয়স ৪০ ছুঁলেও মাঝেমধ্যেই নিজেকে রকমারি পোশাকে সাজিয়ে তোলেন তিনি ।
সম্প্রতি নিজের শরীরের গড়ন নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছিলেন অভিনেত্রী নিজেই। স্বস্তিকার কথায় তিনি কখনই তাঁর ত্বকের রঙ বা শরীরের গড়ন নিয়ে চিন্তিত ছিলেন না, অসাধারণ কিছু পেয়েছি বলেও মনেকরেননি। তবে সিনেমার বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করার জন্য প্রয়োজনে শরীরের ওজন কমাতে বা বাড়াতে হয় অভিনেত্রীকে। তাই স্বস্তিকা নিজেকে ফাঁকা পাত্রের মতো মনে করেন।
এখন যে বয়স বাড়ছে সে কথা উপলদ্ধি করেছেন অভিনেত্রী নিজেও। তাই অভিনেত্রী বলেছেন এক সময়ে জীবনরসে ভরপুর দিন কাটিয়েছেন তিনি। নিজের ইচ্ছে মতো খেয়েছেন,আনন্দ করেছেন। কিন্তু বয়স চল্লিশ ছুঁতেই তিনি স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন হয়ে পড়েছেন। তাই নিজের কথা ভেবেই শুরু করেছেন শরীরচর্চা। অভিনেত্রীর কথায় ‘ফিটনেস ট্রেনার আমায় বলে যাচ্ছে, আর একটু, আর একটু। কিন্তু কিছু দিন যেতে না যেতেই মনে হল পারব না। এক ইঞ্চি বদলাতে ১০০ বছর সময় নিয়ে ফেলব। প্রতি দিন কেঁদেছি’।
তবে হাল ছাড়েননি স্বস্তিকা। এদিন নিজের এই জার্নির কথা বলতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেবন অভিনেত্রী। তিনি বলেছেন ‘আমার শরীরের যে জায়গাগুলোয় মায়ের আদর আঁকা ছিল, সেগুলো একটু একটু করে অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু মনে হয়, মা হয়তো খুশিই হবেন। কারণ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, আমি এই সব কিছুই আমার নিজের জন্য করছি’।