সারা বাংলা জুড়ে দাদা বৌদির বিরিয়ানির (Dada Boudi biryani) অসংখ্য ‘ফ্যান’ রয়েছে। যেমন গন্ধ, তেমনই স্বাদ। এই দোকানের বিরিয়ানি খেতে ভোজনরসিক মানুষদের লম্বা লাইন পড়ে যায়। তবে সেই দোকানের বিরিয়ানির সুখ্যাতি এবার বাংলা গড়িয়ে সুদূর মুম্বই অবধি পৌঁছে গিয়েছে! আর সেই বিরিয়ানির ‘ফ্যান’ স্বয়ং বলি সুপারস্টার ঋত্বিক রোশন (Hrithik Roshan)। একটি খাবার ডেলিভারি অ্যাপের মাধ্যমে সেটি অর্ডার করে চেটেপুটে খেলেনও তিনি। যা দেখে নেটিজেনদের চোখ কপালে উঠেছে।
প্রিয় বলিউড তারকার মুখে নিজেদের পছন্দের রেস্তোরাঁর নাম শুনে স্বাভাবিকভাবেই বেশ উচ্ছ্বসিত এই রাজ্যের বিরিয়ানিপ্রেমী মানুষরা। সামাজিক মাধ্যমে একজন যেমন লিখেছেন, ‘দাদা বৌদি ইজ টুরু লাভ’। তবে শুধু উনি একাই নন, আরও অনেকে ঋত্বিকের দাদা বৌদির বিরিয়ানির প্রতি ভালোবাসা দেখে নিজেদের মন্তব্য জানিয়েছেন।
তবে নেটিজেনদের একাংশ আবার এই বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশও করেছেন। এটা কীভাবে সম্ভব, তাও প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। আসলে জনপ্রিয় খাবার ডেলিভারি সংস্থা জোম্যাটোর তরফ থেকে সম্প্রচারিত এই বিজ্ঞাপনের মুখ ঋত্বিক রোশনের মুখ ব্যবহার করা হলেও, এই বিজ্ঞাপন তৈরি করতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করা হয়েছে। যে এলাকায় বসে বিজ্ঞাপনটি দেখা হবে, সেই এলাকার যে কোনও একটি নামী রেস্তোরাঁর নাম ঋত্বিকের মুখে শোনা যাবে। কী শুনে অবাক হলেন তো?
তবে বলিউড সুপারস্টার ঋত্বিকের ক্ষেত্রে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করা হলেও, ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক এবং বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় কিন্তু দাদা বৌদির বিরিয়ানির একজন বড় ফ্যান। কয়েক বছর আগে এই রেস্তোরাঁর কর্ণধার একবার দাদাগিরির মঞ্চে এসে এই কাহিনী শুনিয়েছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, সৌরভ নাকি একবার কল্যাণী থেকে খেলে ফেরার সময় সোজা তাঁদের দোকানে চলে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে বিরিয়ানি কিনে তা খেতে খেতে বাড়ি ফিরেছিলেন ‘প্রিন্স অফ ক্যালকাটা’।
দাদা বৌদির কর্ণধার জানিয়েছিলেন, তাঁর বাবা-মা প্রথম যখন দোকান শুরু করেছিলেন তখন ৩ কেজি মাংসের বিরিয়ানি তৈরি করা হতো। কিন্তু ধীরে ধীরে দোকানের সুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছে। এখন দৈনিক ৪০০-৫০০ কেজি মাংসের বিরিয়ানি তৈরি করা হয়।