বিয়ে মানেই জীবন শেষ! আশেপাশের অধিকাংশ বিবাহিত নারী পুরুষদের মুখে মুখে ঘুরতে থাকেএই একটাই কথা।ছেলেদের দাবি বিয়ের পর তাদের জীবনে একটুও ‘স্পেস’ অবশিষ্ঠ থাকে না। সারাক্ষণ বউয়ের কিচিরমিচির আর বকবকানি শুনে শুনে জীবনটাই তেজপাতা হয়ে গিয়েছে তাদের। অন্যদিকে মেয়েদের দাবি বিয়ের পর ছেলেরাও একেবারে পাল্টে যায়।
কোন কথা তো শোনেই না, উপরন্তু নিজের মর্জি মাফিক চলে। যার ফলে উভয় পক্ষের মধ্যে সারাক্ষণ খুঁটিনাটি অশান্তি আর ঠান্ডা লড়াই তো লেগেই থাকে। তাছাড়া অফিসের চাপ তো আছেই। আজকালকার দিনে ছেলে মেয়ে দুজনেই চাকুরীজীবী। যা দিনকাল পড়েছে তা না হলে সংসার টানা মুশকিল। তাই তাই দিনভর অফিসের চেইপ ‘প্রেসার কুকার’ হওয়ার পর আবার বাড়ি এসেও অশান্তি কার ভালো লাগে!
কিন্তু,তাই বলে হাত গুটিয়ে বসে থাকলে তো চলবে না! তাহলে এর থেকে নিস্তারের উপায় কি? সম্প্রতি রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় সঞ্চালিত ‘দিদি নাম্বার ওয়ান’-এর মঞ্চে এসে তার উপায় বাতলে দিয়েছেন অভিনেতা নীল ভট্টাচার্য।তিনি এখন জি বাংলা জনপ্রিয় ‘উমা’ ধারাবাহিকে অভি চরিত্রে অভিনয় করছেন। বাস্তব জীবনেও দু’বছর হলো তার বিয়ে হয়েছে অভিনেত্রী তৃনা সাহার সাথে। তাই স্বামী স্ত্রীর মধ্যে হওয়া এই ঝামেলা আর খুনসুটির ব্যাপারে যে অভিনেতার নিজেরও যথেষ্ট অভিজ্ঞতা রয়েছে তা বলাই বাহুল্য।
প্রসঙ্গত যারা দিদি নাম্বার ওয়ানের নিয়মিত দর্শক তারা সকলেই জানেন এই শোতে একটা রাউন্ড আছে যেখানে বিভিন্ন প্রশ্ন করার সাথে সাথে ‘বাজার’ প্রেস করে উত্তর দিতে হয়. কিন্তু তার আগে যতক্ষণ পর্যন্ত রচনা বন্দোপাধ্যায় ‘এবার বলো’ বলছেন তার আগে কেউ বাজার প্রেস কোর্ট পারবেন না। তাহলে সেই সেই থেকে সেই আউট হয়ে যায়।
সম্প্রতি দিদি নাম্বার ওয়ান এর একটি প্রমো প্রকাশ্যে এসেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে মায়ের সাথে দিদি নাম্বার ওয়ান এর মঞ্চে খেলতে গিয়েছেন নীল। সেখানেই সর্বদা হাসিখুশি অভিনেতা জানাচ্ছেন স্বামী স্ত্রীর জীবনে শান্তি ফেরানোর একটা দারুন উপায় রয়েছে তার কাছে। সেটা দিদি নাম্বার ওয়ান থেকেই পাওয়া। এরপরেই নীল জানান এই শোতে সবাই যেমন ‘এবার বল’ বলার পরেই উত্তর দেন তেমনি স্বামী স্ত্রীর মধ্যেও বউরা এবার বল বলার পরেই যদি বররা কথা বলার সুযোগ পান তাহলে আর কারও মধ্যেই অশান্তি থাকবে না।