মীর মানেই একঘর বিনোদন। অনুরাগীদের কাছে মীর মানেই মির্চি,মির্চি মানেই মীর। দীর্ঘ ২৭ বছর, এই সময়টা নেহাত কম নয়। এই দীর্ঘদিনের কেরিয়ারে রেডিও মির্চি (Radio Mirchi) এবং মীর আফসর আলী (Mir Afsar Ali) হয়ে উঠেছিলেন একে অপরের পরিপূরক। আর আজ রথের দিন সকালে হঠাৎ করেই সব্বাইকে একেবারে চমকে দিয়ে রেডিও মির্চি ছেড়ে যাওয়ার কথা জানালেন মীর।
সেই কবে থেকে তার দৃপ্ত কণ্ঠস্বর শুনে আড়ামোড়া ভাঙতে ভাঙতে ঘুম ভাঙার অভ্যাস গোটা শহরের। আগামীকাল থেকেই এক ঝটকায় পাল্টে যাচ্ছে সেই অভ্যাস। প্রিয় সকাল ম্যান (sokalman) সক্কাল সক্কাল আর ট্রাফিক আপডেটস দেবেন না, একথা এখনও বিশ্বাস করতে পারছেন না অসংখ্য মীর ভক্তরা। তাছাড়া যারা নিয়মিত মীরের শ্রোতা তারা তো মীর ছাড়া সানডে সাসপেন্সের (Sunday Suspence) কথা ভাবতে পর্যন্ত পারেন না।
আজ সকালেই সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে একটি পুরুনো ছবি আপলোড করেছেন মীর। আসলে ওই ছবিটি রেডিও স্টেশনে মীরের চাকরি জীবনের শুরুর একেবারে প্রথম দিনেই আকাশবাণী তে তোলা। সেকথা জানিয়েই এদিন ছবির ক্যাপশনে মীর লিখেছেন ‘৬ অগস্ট ১৯৯৪ সাল থেকে ৩০ জুন ২০২২। রেডিওর সঙ্গে ২৭ বছর সক্রিয় ভাবে যুক্ত। এই ছবিটা আকাশবাণীতে প্রথম দিনের। ৬ আগস্ট ’৯৪… Times FM.’
নিজের অসংখ্য অনুরাগীদের ভালোবাসা জানিয়ে মীর লিখেছেন ‘আমায় শোনার জন্য সবাইকে ভালোবাসা,আর শ্রদ্ধা।’ সবশেষে প্রতিবারের মতো এদিন খানিকটা জল্পনা উস্কে দিয়েই মীর লিখেছেন ‘মির্চি ছেড়েছি। রেডিও নয়। কষ্ট হচ্ছে… একটু…. ওই ৯৮.৩% মতন। গল্পের পরবর্তী অংশ ব্রেকের পর। সবশেষে নিজেকে সকলম্যান বলেই উল্লেখ করেছেন মীর।
হঠাৎ করে প্রিয় শিল্পীর কাছ থেকে এমন একটা খবর পাওয়ার পর থেকে কার্যত মুষড়ে পড়েছেন অনুরাগীরা। তাই মীরের পোষ্টের কমেন্ট সেকশন জুড়ে উপচে পড়েছে অনুরাগীদের হা-হুতাশ। এখনও অনেকেই বিশ্বাস করতে পারছেন না এই খবর সত্যি। বিশেষ করে ‘গল্পের পরবর্তী অংশ ব্রেকের পর’ মীরের এই কথাতেই তৈরি হয়েছে সাসপেন্স। কিন্তু অনুরাগীরা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন মীর না থাকলে তারা সানডে সাসপেন্স শুনবেন না।