সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে তামিল ছবির ‘বিক্রম’ (Vikram)। বক্স অফিসে রোজ নতুন রেকর্ড গড়ছে এই ছবিটি। কমল হাসান, (Kamal Hassan) সুরিয়া (Suriya), বিজয় সেতুপতি (Vijay Setupati), ফাহাদ ফসিল অভিনীত এই ছবিটি এখনও পর্যন্ত সারা বিশ্ব জুড়ে ৩৭৫ কোটি টাকার ব্যবসা করে ফেলেছে। শুধুমাত্র প্রিয় অভিনেতাদের এক ঝলক দেখতেই সিনেমা হলে উপচে পড়ছে দর্শকদের ভিড়। তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে একাধিকবার শুধুমাত্র কাস্টিংয়ের জন্য সিনেমা দেখতে গিয়েছিলেন দর্শকরা। আজ এমনই সাতটি সুপারহিট সিনেমার (Superhit movies) নাম একটু জেনে নেওয়া যাক।
থালাপতি (Thalapathi)- ১৯৯১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই তামিল ছবিতে অভিনয় করেছিলেন রজনীকান্ত, মামুট্টি, অমরীশ পুরীর মতো অভিনেতারা। মহাভারতের দুই চরিত্র দুর্যোধন এবং কর্ণের ওপর ভিত্তি করে তৎকালীন ব্যকড্রপে ছবিটি বানানো হয়েছিল। ‘থালাইভা’র চরিত্র কর্ণের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছিল। অপরদিকে মামুট্টির চরিত্রের অনুপ্রেরণা ছিল দুর্যোধন। ভারতীয় সিনেমার দুই সুপারস্টার অভিনীত এই ছবি বাণিজ্যিক দিক থীক সফল হয়েছিল এবং সমালোচকদের প্রশংসাও আদায় করে নিয়েছিল।
কভি খুশি কভি গম (Kabhi Khushi Kabhie Gham)- একই ছবিতে অভিনয় করেছিলেন অমিতাভ বচ্চন, জয়া বচ্চন, শাহরুখ খান, কাজল, ঋত্বিক রোশন এবং করিনা কাপুর খান। দর্শকদের কাছে এটা ছিল একটা ‘বোনাস’এর মতো। বলিপাড়ার একাধিক তারকাকে এক সঙ্গে দেখার এই সুযোগ যে দর্শকরা ছাড়বেন না, তা খানিক জানাই ছিল। ‘কভি কভি’ এবং ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ ছবির স্টোরিলাইন থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে করণ জোহরের এই ছবিটি বক্স অফিসে দারুণ হিট হয়েছিল।
গিরফতার (Geraftaar)- ভারতীয় ফিল্মি দুনিয়ার তিন কিংবদন্তি চরিত্র এই সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন। অমিতাভ বচ্চন, রজনীকান্ত এবং কমল হাসানকে একসঙ্গে দেখার সুযোগ খুব সহজে কিন্তু মেলে না, তবে ‘গিরফতার’ ছবিতে সেই সুযোগ পাওয়া গিয়েছিল। দর্শকও সেই সুযোগ লুফে নিয়েছিল। ১৯৮৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই ছবিটি সেই বছরের তৃতীয় সবচেয়ে সফল ছবির তকমা আদায় করে নিয়েছিল।
হরিকৃষ্ণংস (Harikrishnans)- মালায়ালম চলচ্চিত্র দুনিয়ার দুই স্তম্ভ মোহনলাল এবং মামুট্টিকে একসঙ্গে এই সিনেমায় দেখা গিয়েছিল। পাশাপাশি বলি সুন্দরী জুহি চাওলাও এই ছবিতে অভিনয় করেছিলেন। ‘হরিকৃষ্ণংস’ ছবিতে বন্ধুর ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন দুই দক্ষিণী অভিনেতা। অপরদিকে দু’জনের পছন্দের নারীর চরিত্রে ছিলেন জুহি। ছবিতে প্রথমে শাহরুখ খানের থাকার কথা ছিল, তবে কোনও কারণ বশত তিনি ছিলেন না। ছবিটি বক্স অফিসে সুপারহিট হয়েছিল এবং ধুঁকতে থাকা মালায়ালাম ইন্ডাস্ট্রিতে প্রাণ সঞ্চার করেছিল।
কন্ডুকোন্ডেন কন্ডুকোন্ডেন (Kandukonden Kandukonden)- ঐশ্বর্য রায়, তাব্বু, মামুট্টি, অজিত অভিনীত এই ছবিটি তৈরি হয়ে যাওয়ার পরেও দীর্ঘদিন মুক্তির জন্য আটকে ছিল। কারণ সেই সময় ঐশ্বর্য অভিনীত ‘তাল’ ও ‘হাম দিল দে চুকে সনম’ বক্স অফিসে সুপারহিট হয়েছিল। তখন ছবিটি রিলিজ করলে ফ্লপ হতে পারত, এই আশঙ্কায় ছবিটির মুক্তি আটকে রাখা হয়েছিল। তবে মুক্তির পর জাতীয় পুরস্কার জেতা থেকে শুরু করে টানা ১৫০ দিন বক্স অফিসে চলা- বহু রেকর্ড গড়েছিল।
সীতাম্মা বাকীটলু সিরিমল্লে চেত্তু(Seethamma Vakitlo Sirimalle Chettu)- মহেশ বাবু, বেঙ্কটেশ, সামান্থা রুথ প্রভু এবং অঞ্জলি অভিনীত এই ছবিটিও বক্স অফিসে দারুণ সফল হয়েছিল। ছবিতে দুই ভাই হয়েছিলেন মহেশ এবং বেঙ্কটেশ। অপরদিকে তাঁদের প্রেমিকা হয়েছিলেন দুই অভিনেত্রী। ২০১৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই ছবিটির আগে প্রায় ২৫ বছর তেলেগু ইন্ডাস্ট্রি কোনও ছবিতে একসঙ্গে এত তারকাকে দেখা যায়নি।
সৌদাগর (Saudagar)- ছবির কাস্টিংয়ের জন্য এই ছবিটি অত্যন্ত জনপ্রিয়। প্রথমে দিলীপ কুমার এবং রাজকুমার একসঙ্গে কাজ করতে চাইতেন না। তবে শেষ পর্যন্ত সুভাষ ঘাই তাঁদের রাজি করান। এই ছবির সঙ্গেই দুই বর্ষীয়ান অভিনেতা প্রমাণ করেছিলেন ছবি সুপারহিট হওয়ার সঙ্গে অভিনেতাদের বয়সের কোনও সংযোগ নেই। সিনেমা হলে টানা ২৫ সপ্তাহ চলেছিল এই ছবিটি।