পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ভারতীয় সঙ্গীতশিল্পী আদনান সামি (Adnan Sami) । এক ডাকে তাকে চেনে গোটা দুনিয়া। সম্প্রতি মালদ্বীপ ঘুরতে গিয়ে বেশ কিছু ছবি সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করেছিলেন এই সঙ্গীত শিল্পী (Singer)। তাঁর সেই ছবি দেখে কার্যত হকচকিয়ে গিয়েছেন তেরো থেকে তিরাশি সকলেই। আসলে যে ওজনের জন্য একসময় মানুষের হাসির পাত্র হতেন সম্প্রতি সেই ওজনকেই বিদায় জানিয়েছেন কঠিন ডায়েট (Diet) আর নিয়মিত শরীরচর্চার (Exercise)মধ্যে দিয়ে।
১৬ মাসেই ১৫০কেজি ওজন কমিয়ে ছিপছিপে মেদহীন চেহারার আদনান এখন অসংখ্য মানুষের অনুপ্রেরণা। সালটা ছিল ২০০৫। সেসময় হঠাৎ করেই ইন্ডাস্ট্রি থেকে উধাও হয়ে গিয়েছিলেন এই শিল্পী।লিম্ফেডেমার জন্য অস্ত্রোপচার হওয়ায় ৩ মাস বিছানায় ছিলেন তিনি। জানা যায় সেসময় তাঁর ওজন এতটাই বেড়ে গিয়েছিল যে ডাক্তার তাকে সতর্ক করে জানিয়েছিল এখনও ওজন না কমালে আগামী ৬ মাসের মধ্যে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে তাঁর।
সেসময় নাকি তাঁর পেশির নিচের চর্বি ফুসফুস পর্যন্ত পৌঁছে যাওয়ায় তাঁর শ্বাস নিতে পর্যন্ত কষ্ট হচ্ছিল। এর পরেই পরিবার এবং বন্ধু বান্ধবদের সহযোগিতায় টেক্সাসে একজন পুষ্টিবিদের অধীনে তাঁর ওজন কমানোর সাধনা শুরু করেছিলেন। একপ্রকার আদাজল খেয়ে প্রাণপনে লেগে পড়েছিলেন অসাধ্যসাধনের চেষ্টায়। জানা যায় সে সময় তার ওজন এতটাই বেশি ছিলো যে নিচু হয়ে কোনো কিছু তুলতে পর্যন্ত পারতেন না। তাই তাকে জোর দিতে হয়েছিল নিজের ডায়েট চার্টের ওপর।
এক সময় বিরিয়ানি থেকে শুরু করে কেক, চিজ, মাখানও ছিল আদনান সামির পছন্দের খাবার। কিন্তু শরীরের কথা ভেবে বাধ্য হয়ে নয় স্বেচ্ছায় কাঁচি চালালেন শখের তালিকায়। পুষ্টিবিদের পরামর্শে কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার কমিয়ে দিয়ে প্রোটিন জাতীয় খাবার রাখা হয় আদনান সামির ডায়েটে। এখন তাঁর সকাল শুরু হয় চীন ছাড়া চা দিয়ে।
তারপরেই থাকে নুন মশলা ছাড়া পরকর্ন। সকালে পপকর্ন। দুপুরে থাকে শুধু স্যালাড আর মাছ জাতীয় খাবার। পাশাপাশি রাতের খাবারে থাকে সিদ্ধ মসুর ডাল বা মুরগির মাংস। পাশাপাশি এখন তিনি ট্রেডমিলে হাঁটা থেকে শুরু করে হালকা ব্যায়াম এবং কার্ডিও করে থাকেন। সব মিলিয়ে দিন রাত কঠিন শরীর চর্চা, আর ডায়েটের জোরে এখন তাঁর ওজন মাত্র ৭৫ কেজি !