এই মুহূর্তে ভারতীয় ওয়েব সিরিজের দুনিয়ায় অত্যন্ত পরিচিত একটি নাম হল পঙ্কজ ত্রিপাঠি (Pankaj Tripathi)। তথাকথিত নায়কোচিত ইমেজের বাইরে বেরিয়ে একেবারে নিজস্ব কায়দায় সাবলীল অভিনয় দক্ষতা দিয়ে মন জয় করেছেন অসংখ্য দর্শকদের। ইদানীং বদলে গিয়েছে গল্প বলার ধরণ। পরিবর্তন এসেছে দর্শকদের রুচি এবং চাহিদাতেও। এই কারণে এখনকার দিনে স্মার্টফোন ব্যবহারকারী দর্শকদের মধ্যে দিনে দিনে বেড়ে চলেছে ওয়েব সিরিজের চাহিদা।
আর ওয়েব সিরিজের দুনিয়ায় এখন তো একপ্রকার রাজত্ব করেন মির্জাপুরের কলিন ভাইয়া। বিহারের প্রত্যন্ত গ্রামের এই দাপুটে অভিনেতা বর্তমানে বাংলার জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত পরিচালক সৃজিত মুখার্জির (Srijit Mukherjee) আসন্ন সিনেমা ‘শেরদিল : দ্য পিলিভিট সাগা’ (Sherdil the pilivit saga)-র প্রচারের কাজে তুমুল ব্যস্ত। এই প্রচারের (Prpmote) কাজে একদিন আগেই কলকাতায় এসেছিলেন সকলের প্রিয় এই অভিনেতা।তবে অনেকেই হয়তো জানেন না পঙ্কজ ত্রিপাঠি কিন্তু বাংলার জামাই। কলকাতার (Kolkata) ভবানীপুরের মেয়েকেই বিয়ে করেছেন তিনি।
তাই বাড়িতে সারাক্ষণ বাংলাতেই কথা বলেন অভিনেতা। এমনকি আলু পোস্ত, ঝিঙে পোস্ত, পটল পোস্তর গল্প শুনতে শুনতে আর খেতে খেতে বাংলাটা এখন নাকি তিনি ভালই বোঝেন। অভিনেতার কথায় তাঁর প্রথম প্রেম বাংলা। বিয়েও করেছেন ভবানীপুরের মেয়ে। আর দ্বিতীয় প্রেম বাঙালি খাবার।অনেকেই হয়তো জানেন অভিনয়ে আসার আগে বিহারের বাসিন্দা পঙ্কজ আগে ছিলেন একজন শেফ। তাই খাদ্যরসিক পঙ্কজ কিন্তু বাঙালি খাবার শুধু খেতে নয় রান্না করতেও দারুন ভালোবাসেন। বিশেষ করে সর্ষে দিয়ে তৈরি যে কোনো রেসিপি তিনি দারুন পারেন।বিশেষ করে সর্ষে দিয়ে মাছের রেসিপিটা অত্যন্ত পছন্দের তার।
প্রসঙ্গত ‘শেরদিল’ সৃজিত মুখার্জির স্বপ্নের প্রজেক্ট এই নিয়ে দ্বিতীয়বার হিন্দি সিনেমা পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছেন তিনি। আগামী ২৪ জুন প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে সৃজিত মুখোপাধ্যায় পরিচালিত ‘শেরদিল:দ্য পিলিভিট সাগা’। প্রসঙ্গত ২০১৭ সালে একটি বাস্তব ঘটনা পড়ে তা থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই গল্প লিখেছিলেন সৃজিত মুখার্জী। এরপর ২০১৯ সালে সিনেমা মুক্তির কথা ঘোষণা করেন পরিচালক। অবশেষে ৫ বছর পর মুক্তি পেতে চলেছেসৃজিত মুখার্জির এই স্বপ্নের সিনেমা। ছবির প্রচারে কলকাতার ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল ঘুরে দেখার পাশাপাশ,ভিক্টোরিয়ার বাইরে সৃজিত মুখার্জীর সাথে দাঁড়িয়ে ঝাল ফুচকা খেতে দেখা গেল বাংলার জামাইকে।
ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল এর সামনে চলল ফটো সেশনও। অভিনেতা সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন যেহেতু তাঁর জীবনের বেশিরভাগ সময়টাই গ্রামে কেটেছে আর এই ছবিতে দেখানো চরিত্রের সাথে তিনি নিজে খুব সহজে একাত্ম হতে পেরেছেন। সেইসাথে এদিন অভিনেতা জানালেন বাংলার প্রতি ভালোবাসা থেকেই বাংলা সিনেমায় অভিনয় করার ইচ্ছা থাকলেও এখনো পর্যন্ত তিনি স্পষ্ট বাংলায় কথা বলতে পারেন না তাই তিনি চান বাংলা সিনেমায় অভিনয় করবেন অথচ ডাবিং করবেন অন্য কেউ। তাই কোনো হিন্দি ভাষী চরিত্র পেলে তিনি যে কোনো সময় রাজি হয়ে যাবেন।