বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম জনপ্রিয় একজন তারকা হলেন চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী (Chiranjit Chakraborty)।দেখতে গেলে আমাদের বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির একজন অভিজ্ঞ প্রবীণ অভিনেতা তিনি। তাই মাঝেমধ্যেই নানা বিষয়ে তাই একজন অভিভাবক হিসেবে সরব হতে দেখা যায় তাকে। যার ফলে প্রায়শই উঠে আসেন শিরোনামে। প্রসঙ্গত একটা সময় ছিল যখন বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করেছিলেন দাপিয়ে অভিনয় করেছিলেন চিরঞ্জিত। বড় পর্দায় তার সিনেমা মুক্তি পাওয়া মানেই হল সিনেমা হাউসফুল। হাততালি আর সিটিতে পড়তো প্রেক্ষাগৃহ।
নিজের দীর্ঘ অভিনয় জীবনে তিনি দর্শকদের উপহার দিয়েছেন একাধিক সুপারহিট বাংলা সিনেমা। এই কারণে দীর্ঘদিন ধরেই বাংলা সিনেমা এবং দর্শকদের সম্পর্কে যথেষ্ট ধারণা রয়েছে তাঁর। তাই বলা যায় সেই অভিজ্ঞতা থেকেই তিনি মন বোঝেন দর্শকদের। তবে একথা ঠিক সময়ের সাথে সাথে বদলেছে বাংলা সিনেমার দর্শকদের রুচি। সেইসাথে এই কারণে বদল এসেছে সিনেমার বিষয়বস্তুতেও। তাই রুচি এবং চাহিদার কথা মাথায় রেখেই এখন সারা বছর ধরে আসছে ভিন্ন স্বাদের নিত্য নতুন সিনেমা।
চলতি ভাষায় যাকে আমরা আর্টফিল্ম বলেই জানি। সে দিক দিয়ে দেখতে গেলে তথাকথিত কমার্শিয়াল সিনেমার সংখ্যা এখন বছরে কিছুটা হলেও কম তৈরি হচ্ছে। সম্প্রতি বাংলা সিনেমার এই ধারা পরিবর্তন প্রসঙ্গে মুখ খুলে ছিলেন বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির অত্যন্ত জনপ্রিয় অভিনেতা চিরঞ্জিত চক্রবর্তী। বর্তমানে বাংলায় যে ধরনের সিনেমা চলছে তার মধ্যে ‘অপরাজিত’ এবং ‘বেলাশুরু’-এর মত সিনেমা বাদ দিলে বেশিরভাগ ছবিই মুখ থুবড়ে পড়ছে বক্স অফিসে।
কি কারণে সেই সিনেমাগুলি দর্শকদের হলমুখী করতে পারছে না তা সত্যিই ভাববার বিষয়। এ প্রসঙ্গে সম্পূর্ণ নিজস্ব মতামত জানিয়ে বাংলা সিনেমার এই হতশ্রী অবস্থা প্রসঙ্গে মুখ খুলেছিলেন চিরঞ্জিত। আর এই অবস্থার জন্য পরোক্ষভাবে হলেও অভিনেতা দায়ী করেছেন আজকের দিনে স্মার্ট ফোন ব্যবহারকারী দর্শকদের কাছে ওয়েব সিরিজে তুমুল জনপ্রিয়তাকে। সেইসাথে উঠে এসেছে গ্রামবাংলার মানুষের চাহিদার কথা ভেবে বাংলা সিনেমা তৈরি সংখ্যা কমে যাওয়ার বিষয়টিও। অভিনেতা চিরঞ্জিত এর মতে বাংলা ছবির উপর যে ধরনের এ-নিরীক্ষা করা হচ্ছে তার ফলে সিনেমার গুণগতমানের উন্নত হচ্ছে ঠিকই কিন্তু এসবের চক্করে সিনেমা গুলি দেখতে হল মুখ হচ্ছেন না গ্রাম বাংলার অধিকাংশ মানুষজ।
চিরঞ্জিতের মোতে তার কারণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষদের কাছে সিনেমা মানে নাচ-গান এবং পারিবারিক কাহিনী। যা দেখে তারা সহজেই বিনোদনের রসদ খুঁজে পাবেন। তাই বাংলা সিনেমাকে তাদের পুরনো জায়গা ফিরিয়ে দিতে গেলে আগের মত তথাকথিত কমার্শিয়াল সিনেমা তৈরি করতে হবে। এছাড়া তিনি মনে করেন প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের দর্শকদের হলমুখী করতে আরও একটা ‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ'(Sashur Bari Zindabad) অথবা ‘প্রতিকার’ (Protikar),- এর মতো সিনেমা উপহার দিতে হবে দর্শকদের।