গত মাসে অর্থাৎ মে মাসের শেষ তারিখে কলকাতার নজরুল মঞ্চে গান গাইতে এসেছিলেন কিংবদন্তি শিল্পী কে কে (KK)। প্রত্যেক বারের মতো সেদিনও কনসার্ট শেষে একেবারে নিজস্ব কায়দায় কলকাতাবাসীকে বিদায় জানিয়েছিলেন কেকে। কথা ছিল কলকাতাবাসীর মন ভরিয়ে আবার ফিরে আসবেন মায়ানগরি মুম্বাইতেই। কিন্তু কে জানত! এই এটাই ছিল প্রিয় শিল্পীরর গাওয়া শেষ গানের কনসার্ট।
শো থেকে ফেরার পথেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সবাইকে কাঁদিয়ে অকালেই চিরঘুমের দেশে পাড়ি দিয়েছেন শিল্পী। সেই থেকে এখনো পর্যন্ত কে কে -কে ভুলতে পারছেন না কেউই। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে অনুরাগীদের চোখের সামনে ঘোরাফেরা করছে শুধু তাঁরই ছবি। আর হবে নাই বা কেন কে কে হলেন সেই গায়ক যিনি হলেন একটা গোটা জেনারেশের আবেগ।
কেকের মৃত্যুর পর কার্যত মুষড়ে পেয়েছেন তাঁর অসংখ্য অনুরাগী।তাই ভক্তদের যদি এই অবস্থা হয় তাহলে তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিশেষ করে স্ত্রী-কন্যা পুত্রের অবস্থাটা আঁচ করতে গেলেই বুক কেঁপে ওঠে। প্রসঙ্গত গতকাল ছিল আন্তর্জাতিক পিতৃ দিবস। এই বিশেষ দিনে গতকাল সকাল থেকেই নিজের নিজের বাবার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ার পাতা ভরিয়ে দিয়েছিলেন সবাই।
তবে অন্যান্যবারের তুলনায় কিন্তু এবছর কেকের মেয়ে তামারার (Tamara) কাছে পিতৃদিবস ছিল একেবারেই আলাদা। তাই বাবার মৃত্যুর পর প্রথম পিতৃ দিবসের দিন ইমোশনাল হয়ে পড়েছিলেন মেয়ে তামারা। তাই এদিন বাবার স্মৃতিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) একটি আবেগপ্রবণ পোস্ট (Emotional Post) করেছিলেন তামারা। সেখানে তিনি জানিয়েছেন এখন তিনি কীভাবে জীবনের প্রতিটা মুহূর্তে নিজের প্রয়াত বাবাকে মিস করে চলেছেন।
এদিন বাবাকে নিয়ে করা পোস্টের শুরুতেই তামারা লিখেছেন ‘তোমাকে অন্তত একবার এক সেকেন্ডের জন্য পেতে আমি ১০০ বার তোমাকে হারানোর কষ্ট পেতে রাজি বাবা’। এছাড়া এদিনের ওই দীর্ঘ পোস্টে সোশ্যাল মিডিয়ায় বাবার সাথে বেশ কয়েকটি ছবি শেয়ার করেছিলেন তামারা। যার মধ্যে প্রথম ছবিতে দেখা যাচ্ছে ভাই নকুলের সাথে বাবার পিঠে উঠে হাসিমুখে পোজ দিয়েছেন ছোট্ট তামারা। আর অন্য একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে জানলার সামনে বসে বাবার হাতে পিয়ানো বাজানো শিখছেনসে,আর শেষ ছবিতে দেখা যাচ্ছে কে কে তামারার হাতে কিছু একটা তুলে দিচ্ছেন।
View this post on Instagram