চলতি মাসেই প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে রাজ চক্রবর্তী (Raj Chakraborty) পরিচালিত ছবি ‘হাবজি গাবজি’ (Habji Gabji)। ছবিতে দম্পতির ভূমিকায় অভিনয় করেছেন রাজ-ঘরণী শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায় এবং পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। তাঁদের ছেলের চরিত্রে দেখা গিয়েছে সামন্তকদ্যুতি মৈত্রকে। ছবিটি দেখে বেশিরভাগ দর্শকদের পছন্দ হলেও, একাংশের ছবিটি বিশেষ মনে ধরেনি। তাঁরা সটান পরিচালককে গিয়ে সেকথা জানিয়েও দিয়েছেন।
রাজের ছবিতে দেখা গিয়েছে, ব্যস্ত মা-বাবার থেকে যথেষ্ট সময় না পেয়ে কীভাবে একটি শিশু ধীরে ধীরে অনলাইন গেমের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েছে। নিজের ছবির মাধ্যমে একটি সামাজিক বার্তা দিতে চেয়েছেন পরিচালক। ছবিটি দেখে বেশ খুশিও হয়েছেন খুদেদের অভিভাবকরা। ‘হাবজি গাবজি’ মতো ছবি বানানোর জন্য রাজকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন তাঁরা।
খুদেদের মা-বাবারা খুশি হলেও, ছবিটি বিশেষ মনে ধরেনি খুদেদের। কারণ এই ছবি দেখে নাকি তাঁদের ভয় করছে। একথা এসে আবার রাজকে বলেছেনও তাঁরা। পরিচালক জানান খুদেরা নাকি তাঁকে এসে বলছে, ‘কী ছবি বানিয়েছ! দেখে তো ভয় করছে। আর গেমও খেলতে পারছি না। মা-বাবারা বলছেন, দেখেছিস তো! গেম খেললে কী হয়’।
রাজ জানিয়েছেন, ‘হাবজি গাবজি’ দেখে নাকি অনেক শিশুই নিজের ফোন থেকে গেম মুছে দিয়েছে। রাজের সামনেই নাকি এই কাজ অনেকে করেছে। ছবির মাধ্যমে তাঁরা যে বার্তা দিতে চেয়েছিলেন, সেটি কার্যকর হয়েছে দেখে খুশি রাজ-সহ ছবির সম্পূর্ণ দল।
‘হাবজি গাবজি’র পরিচালক জানিয়েছেন, তাঁর ভাগ্নি যখন ঘণ্টার পর ঘণ্টা মোবাইলে মুখ গুঁজে বসে থাকত তখন তাঁর খুব খারাপ লাগত। এমনকি অনেক সময় ঘুরতে গিয়েও মোবাইল-আসক্তির কারণে একে অপরের সঙ্গে কথাও বলতেন না পরিবারের সদস্যরা। সেখান থেকেই এই ছবি বানানোর সিদ্ধান্ত নেন রাজ।
প্রেক্ষাগৃহে দাঁড়িয়েও অভিভাবকদের কাছে মোবাইল-আসক্তির বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন রাজ। হাত জোড় করে প্রত্যেক অভিভাবকের কাছে তিনি অনুরোধ করে বলেন, ‘সন্তানকে সময় দিন। ওঁর সঙ্গে খেলুন, কথা বলুন। মোবাইলের বদলে ওর হাতে ফুটবল তুলে দিন। আমরাও একটি নির্দিষ্ট সময় ইউভানকে দিই। ওকেও মাঠে খেলতে নিয়ে যাই’। এবার দেখার পরিচালকের অনুরোধ অভিভাবকেরা রাখেন কিনা।