বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির তারকাদের মধ্যে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় (Prosenjit Chatterjee) যেমন বেশ পরিচিত নাম। তেমনই চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী (Chiranjit Chakraborty), তাপস পাল (Tapas Paul) ও অভিষেক চট্টোপাধ্যায় (Abhishek Chatterjee) নামগুলিও অটি পরিচিত। টলিউড ইন্ডাস্টির চারমূর্তি হিসাবে অনেকেই চিনতেন এই চার অভিনেতাকে। কিন্তু বর্তমানে চারজনের দুজনই আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছেন। প্রসেনজিৎ ও চিরঞ্জিৎ রয়েছেন ও এখনও নিজেদের জনপ্রিয়তা বজায় রেখেছেন।
আর কিছুদিন পরেই ১৭ই জুন প্রসেনজিৎ ও দিতিপ্রিয়া রায় (Ditipriya Roy) অভিনীত ছবি ‘আয় খুকু আয়’ (Aay Khuku Aay) মুক্তি পেতে চলেছে। শেষ পর্যায় চলছে ছবির প্রচারের কাজ। আর এদিন ছবির প্রচারের জন্য এসে প্রয়াত অভিনেতা তাপস পাল তথা বন্ধুর স্মৃতি শেয়ার করলেন বুম্বাদা। জানালেন নিজেদের বন্ধুত্বের কাহিনীও।
হুগলির চন্দননগরের ছেলে তাপস পাল। টলিউডে একাধিক সুপারহিট ছবিতে অভিনয় করেছিলেন তিনি। ‘দাদার কীর্তি’ ছবিতে তাপস পালের অভিনয় আজও বাঙালির কাছে নস্টালজিয়া। তবে পরবর্তীকালে রাজ্য রাজনীতিতে যোগ দেন অভিনেতা। এরপর চন্দননগর নিয়ে বেশ বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন তিনি। তবে সে যাই হোক না কেন, অভিনেতা হিসাবে কিন্তু সত্যিই তাপস পাল প্রশংসনীয় ছিলেন। আর তাপস ও প্রসেনজিৎ দুজনেই দারুন বন্ধু ছিলেন।
একসাথে একাধিক ছবিতেই কাজ করতে দেখা গিয়েছে তাদেরকে। এদিন ‘আয় খুকু আয়’ ছবির প্রচারে চন্দননগরে এসে তাপস পালের বাড়ির কথা শোনালেন প্রসেনজিৎ। বুম্বাদা জানান,প্রিয় বন্ধু আর নেই, তবে তার বাড়ি রয়ে গেছে। সেই বাড়ির কাছেই ছবির প্রচারের জন্য এসেছিলেন। তাই তাপস পালের তালাবন্ধ বাড়ির সামনেই পুরোনো দিনের কথা মনে পরে গিয়েছে অভিনেতার।
এক সংবাদ মাধ্যমের সাথে সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, সেই সময় আউটডোর শুটিং থাকলে একাধিক আলাদা আলাদা গাড়ি পাওয়া যেত না। তাই যখন একসাথে কাজ থাকত তখন তাপস পালকে বাড়ি থেকেই তুলে নিয়ে যেতেন প্রসেনজিৎ। এরপর আবার ফিরতেন, তাপস পালের বাড়িতেই হত খাওয়া দাওয়া।
শুধু তাপস পালের বাড়িতে নয় প্রসেনজিতের বাড়িতেও দিব্যি ছিল আনাগোনা। বাইরে শুটিংয়ের জন্য গেলে প্রসেনজিতের পাশাপাশি তাপস পালের জন্যও খাবার করে রাখতেন মা। তাকে ‘বড়ছেলে’ বলেই সম্মোধন করতেন প্রসেনজিতের মা। এদিন প্রসেনজিৎ নিজেদের বন্ধুত্ব ও পুরোনো দিনের স্মৃতি শেয়ার করে সেই সময়ের সবচাইতে ভালো অভিনেতা বলেন তাপস পালকে।