ফিল্মি দুনিয়া আর অভিনেতা-অভিনেত্রীদের নিয়ে হামেশাই চর্চা লেগে থাকে নেট পাড়ায় তবে কিছু অভিনেত্রী যেমন সময়ের সাথে সাথে নিজের জনপ্রিয়তা বাড়িয়ে তোলে আবার এমন কিছু অভিনেত্রীরাও রয়েছেন যারা সময়ের সাথে সাথে ইন্ডাস্ট্রি থেকে একেবারে হারিয়ে গিয়েছেন এমনই একজন দক্ষিণী অভিনেত্রী (South Actress) হলেন আশির দশকের নিশা নূর (Nisha Nur) মূলত দক্ষিণ ইন্ডাস্ট্রিতে বেশ কিছু হিট সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন নিশা। তবে তার জীবনের শেষ সময়টা ছিল রীতিমত গায়ে কাঁটা দেওয়ার মত।
একসময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রীর যে এমন হাল হতে পারে একথা কেউ ভাবতেও পারেননি। আশির দশকে দক্ষিণী সিনেমা দিয়েই নিজের অভিনয় যাত্রা শুরু করেছিলেন নিশা নূর। তবে খুব বেশি দিন তাকে ইন্ডাস্ট্রিকে দেখা যায় নি। যে টুকু সময় কাজ করেছিলেন তাতেই দারুণ জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন। এছাড়াও রজনীকান্ত, কামাল হাসান ও সমকালীন সুপারস্টার তারকাদের সাথেও কাজ করেছিলেন তিনি।
কিন্তু ধীরে ধীরে ইন্ডাস্ট্রি থেকে হারিয়ে যান অভিনেত্রী। কারণ কাজ পাওয়া প্রায় বন্ধই হয়ে গিয়েছিল। এমনকি জানা যায় কোন এক প্রযোজকের প্রতারণার ফাঁদে পা দিয়ে বেশ্যাবৃত্তিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। এরপর আরও অতলে তলিয়ে যেতে থাকেন তিনি। একসময় দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির সুপারহিট নায়িকা হলেও জীবনের শেষের দিকে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছিল অভিনেত্রীকে।
২০০৭ সালে একটি দরগার বাইরে পরে থাকতে দেখা গিয়েছিল অভিনেত্রীকে। যখন তাকে উদ্ধার করা হয় তখন তার দেহ কোনকালে পরিণত হয়েছিল। সারা গায়ে পোকামাকড়ে ভরে গিয়েছিল। পোকা ও পিঁপড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছিল গোটা গায়ে। এই অবস্থায় তাকে তুলে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে জানা যায় এডস রোগে আক্রান্ত হয়েছেন তিনি।
একসময়ের সুন্দরী অভিনেত্রীকে এভাবে দেখতে হবে কেউ কল্পনাও করতে পারেননি। তবে অভিনেত্রীর এমন দশা হওয়ার কারণে প্রায় সকলেই তার বেশ্যাবৃত্তিকে দায়ী করেন। হয়তো প্রতিদিনই আলাদা আলাদা পুরুষের সাথে সঙ্গম করতে হত তাকে। সেখান থেকেই এডসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পরে। যার জেরে দেহ পরিণত হয়েছিল কঙ্কালে।
অভিনেত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও খুব বেশিদিন বাঁচেননি। ২০০৭ সালেই তাঁর মৃত্যু হয়। ‘টিক! টিক! টিক!’, ‘আইয়ার দ্য গ্রেট’, ‘কল্যাণ আগতিগাল’, মিমিক অ্যাকশন ইত্যাদি সিনেমায় অভিনয় করা অভিনেত্রীর শেষ জীবনের এই পরিণতি আজও শিহরণ জাগিয়ে তোলে নেটিজেনদের মনে।