এই মুহূর্তে বাংলা ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম ব্যস্ত অভিনেতা হলেন রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায় (Rahul Arunoday Banerjee)। আজ থেকে প্রায় ১৪ বছর আগে ২০০৮ সালে রাজ চক্রবর্তী পরিচালিত সিনেমা ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’দিয়ে টলিউডে ডেবিউ করেছিলেন অভিনেতা। সেই সময় বাংলা জুড়ে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছিল রাহুল-প্রিয়াঙ্কা অভিনীত এই সুপারহিট সিনেমাটি।
ইদানিং ছোটপর্দা হোক কিংবা বড় পর্দা উভয় ইন্ডাস্ট্রিতেই চুটিয়ে অভিনয় করছেন রাহুল।একজন অভিনেতা হিসেবে এর থেকে বেশী কেউ আর কিই বা চাইতে পারেন। রাহুলের দুর্দান্ত অভিনয় বরাবারই মন জয় করেছে দর্শকদের। আজ অর্থাৎ ১০জুন মুক্তি পেয়েছে পরিচালক সৌম্য সেনগুপ্ত (Soumya Sengupta) পরিচালিত সিনেমা ‘মৃত্যুপথযাত্রী’ (Mrityupathajatri)। পরিচালক হিসেবে এটাই প্রথম সিনেমা সৌম্যর।
এই সিনেমাতে একজন ফাঁসির আসামির চরিত্রে অভিনয় করেছেন (পড়ুন নিজেকে সম্পূর্ণ নিংড়ে দিয়েছেন) রাহুল।পরীক্ষামূলক এই সিনেমায় একজন ফাঁসির আসামির জীবনের শেষ ১২ঘন্টার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ নিজের সুনিপুণ অভিনয় দক্ষতার মাধ্যমে পর্দায় ফুটিয়ে তুলেছেন রাহুল। তাই এরকম একটা কঠিন চরিত্রে অভিনয়ের জন্য রীতিমতো হাড়ভাঙা পরিশ্রম করেছেন অভিনেতা।
এই সিনেমায় অভিনয়ের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে রাহুল বলেছেন মৃত্যুপথযাত্রী’র গল্প তাকে রীতিমতো নাড়া দিয়েছে।অভিনেতার কোথায় ‘একটা ছবির গোটাটা জুড়ে শুধু আমিই! এটা তো খুব কম অভিনেতার ভাগ্যে জোটে।’ তবে সেসাথে রাহুল নিজের মুখেই আমার কাছে খুব বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। বলতে পারেন শক্ত পরীক্ষা দিয়ে উঠলাম।
চরিত্রের প্রয়োজনে একজন ফাঁসির আসামির মতো একটানা ১৫ দিন নিজেকে একটা ঘরে বন্ধ রেখেছিলেন রাহুল। এমনকি ওই সময়টাতে নাকি তিনি বাড়ির লোকজনের সাথেও পর্যন্ত কোনো কথা বলেননি।ঘরের বন্ধ দরজার বাইরে তার জন্য রাখা থাকত খাবার। দু’মাস চুল, দাড়ি-গোঁফ কিচ্ছু কাটেননি। প্রচুর পড়াশোনা করার পাশাপাশি তিনি নাকি কিছু সংশোধনাগারেও যোগাযোগ করে কথা বলেছিলেন।
তাই শুনতে অবাক লাগলেও এ কথা কিন্তু সত্যি একজন ফাঁসির আসামির চরিত্রে অভিনয় করতে গিয়ে একসময় প্রচণ্ড মানসিক অবসাদের ডুবে গিয়েছিলেন অভিনেতা নিজেই। এ প্রসঙ্গে রাহুল জানিয়েছেন ছবির শুটিং শেষ করে তাকে নাকি একজন মনোবিদের দ্বারস্থ হতে হয়েছিল। রাহুলের কোথায় ‘সারাদিন মৃত্যুর সঙ্গে সহবাস। রোজ একই বিষয়ে শ্যুট। আমায় সেই অনুভূতি বহন করতে হয়েছে। ফাঁসির আসামির মতোই কখনও হেসেছি। কখনও রেগেছি। কখনও হাউহাউ করে কেঁদে ফেলেছি। আবার সেই আমিই অনুতপ্ত। বারংবার ‘সরি’ বলেছি। আর সারা ক্ষণ মৃত্যুভয়ে কেঁপেছি।’