দেখতে দেখতে প্রায় তিন মাস হয়ে গেল আজ আর আমাদের মধ্যে নেই টলিউড অভিনেতা অভিষেক চ্যাটার্জি (Abhishek Chatterjee)। চলতি বছরের ২৪ মার্চ সাতসকালে গোটা বাংলার মানুষের ঘুম ভেঙেছিল অভিষেক চ্যাটার্জি প্রয়ানের খবরে। বাংলা সিনেমার কার্তিক ঠাকুরের মৃত্যুসংবাদে আচমকা শোকে পাথর হয়ে গিয়েছিল গোটা ইন্ডাস্ট্রি। অভিনয় অন্ত প্রাণ ছিল অভিষেকের।তাই বোধ হয় জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত শুটিংয়ের ফ্লোরেই ছিলেন অভিনেতা।
তবে তিনি যে এমন অকালেই চলে সেকথা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি কেউ। অভিষেক চ্যাটার্জী মৃত্যুর পরেও রয়েছেন জীবিত। অন্তত এমনটাই মনে করেন তাঁর স্ত্রী সংযুক্তা (sanjukta chatterjee) আর একমাত্র মেয়ে ডল (Doll)। তাই সর্বক্ষণ তাঁর উপস্থিতি অনুভব করতে অভিনেতার একটা ছবি সবসময় নিজেদের কাছেই রাখেন সংযুক্তা এবং সাইনা।এইভাবেই প্রয়াত অভিনেতার জন্মদিন পালন করেছে মা মেয়ে। ছবি সঙ্গে নিয়েই খাইয়েছিলেন কেক।
কিছুদিন আগেই স্বামীর ছবি সঙ্গে নিয়েই মেয়ে সাইনার পাটায়া গিয়েছিলেন সংযুক্তা। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ট্রিপের ছবিও শেয়ার করেছিলেন তারা। এই ভাবেই প্রতিনিয়ত প্রয়াত স্বামী কে সঙ্গে নিয়েই জীবনে এগিয়ে চলার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন অভিষেক পত্নী।কিন্তু প্রয়াত স্বামীর ছবি নিয়ে ঘুরতে যাওয়ায় সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেয়ে যায় একাধিক কুমন্ত্যব্য। সংযুক্তার এভাবে মৃত স্বামীর ছবি নিয়ে বেড়াতে যাওয়াকে অনেকেই ‘হাস্যকর’ এবং ‘সমবেদনা’ পাওয়ার চেষ্টা বলে কটাক্ষ করেন ।

এবার সমস্ত কটাক্ষের জবাব দিয়ে অভিষেকের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে একটি দীর্ঘ পোস্ট করছেন সংযুক্তা। সেখানেই তিনি সমস্ত কটাক্ষের জবাব দিয়ে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন নিন্দুকদের জবাব না দিলেও চলত কিন্তু যেহেতু এই বিষয়টির সাথে তার স্বামী অভিষেক চ্যাটার্জীর নাম জড়িয়ে রয়েছে তাই বাধ্য হয়েই জবাব দিলেন তিনি।
সংযুক্তা জানিয়েছেন প্রতিমুহূর্তে আজও তিনি অভিষেকের উপস্থিতি অনুভব করতে পারেন। তাই জীবনের বিশেষ দিনগুলোতে যেখানে তিনি অভিষেকের উপস্থিতি প্রয়োজন অনুভব করেন সেখানে তিনি এই ছবিটির সঙ্গে নিয়ে যান। পাশাপাশি নেটিজেনদের একটা বড় অংশকে এক হাত নিয়ে তিনি জানান “ভালোবাসা আর সমবেদনার মধ্যে তফাৎ রয়েছে। অনেকেই সেটা বোঝে না। আমি নিজে সমবেদনার জন্য বাঁচিনা।”