বাঙালি দর্শকদের মধ্যে ‘মিঠাই’ (Mithai) সিরিয়ালের অভিনেত্রী সৌমিতৃষা কুন্ডু (Soumitrisha Kundu) নামটা জনপ্রিয়তা আলাদাই রয়েছে। প্রতিদিন জি বাংলার পর্দায় মিঠাই দেখা চাই! একসময় এক বছরেরও বেশি সময় ধরে টিআরপির তালিকায় প্রথম স্থানে থেকেছিল মিঠাই। সিরিয়ালের জগতে এটা একটা রেকর্ড। এমনকি বর্তমানেও বাকি সিরিয়ালদের কড়া চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছে মিঠাই। এককথায় এটা নিঃসন্দেহে বলা যেতে পারে যে বাংলার সবচাইতে জনপ্রিয় অভিনেত্রীদের মধ্যে সৌমিতৃষা একজন।
বর্তমানে মিঠাইয়ের বয়স মাত্র ২২, তবে এই বয়সেই যে সাফল্য সে পেয়েছে সেটা সত্যিই প্রশংসনীয়। যেমন দুর্দান্ত অভিনয়ের ক্ষমতা তেমনি তাঁর সৌন্দর্য আর ব্যবহার, সব মিলিয়েই আজ সফল অভিনেত্রী। তবে এতটা সাফল্য পেলেও খুবই সরল মনের অধিকারী তিনি, বা মাটির মানুষ বলা যেতে পারে। মাঝে মধ্যেই শুটিং ফ্লোরে তাঁর সাথে দেখা করতে হাজির হন একাধিক ভক্তরা তাদের সাথেও হাসি মুখেই দেখা করেন অভিনেত্রী।
সম্প্রতি এক ইউটিউব চ্যানেলের সাক্ষাৎকারে হাজির হয়েছিলেন মিঠাইয়ের সৌমিতৃষা। সেখানে তাঁর ছোটবেলার কাহিনী থেকে দুস্টুমি ও আরও অনেক অজানা তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। মা বাবার শাসন থেকে নিজের শয়তানি, প্রথম কাজ পাওয়া থেকে প্রথম পারিশ্রমিক সবটাই জানিয়েছেন অভিনেত্রী।
অভিনেত্রীর প্রথম কাজের জন্য যে টাকা পেয়েছিলেন অভিনেত্রী নিজের জন্য কিছুই কেনেন নি। বরং মা বাবার জন্য উপহার কিনে নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। বর্তমানে মূল চরিত্রে জনপ্রিয় হওয়া মিঠাই কিন্তু একসময় ‘এ আমার গুরুদক্ষিণা’ নামক সিরিয়ালে খলচরিত্রে অভিনয় দিয়েই কেরিয়ার শুরু করেছিলেন। এরপর ছোট বেলার অনেক স্মৃতি শেয়ার করেন অভিনেত্রী।
ছোট বেলা থেকেই পর্দার মিঠাইয়ের মত বেশ দুষটু ছিলেন অভিনেত্রী। একবার রাস্তায় বৃষ্টিতে ভিজতে থাকা বিড়াল ছানাকে বাঁচাতে নিজের ব্যাগে ভরে চেন আটকে বাড়ি নিয়ে এসেছিলেন তিনি। এদিকে চেন বন্ধ থাকায় বিড়াল ছানা ছটফট করতে থাকে, বাড়িতে আসতেই মা ব্যাগ থেকে বের করে তার যত্ন নেই। এরপর মিঠাইয়ের সাথেই বেশ কিছুদিন ছিল সেই বিড়াল ছানা।
এরপর জানা যায় সৌমিতৃষার যে লম্বা চুলের জন্য এখন প্রতিটা মহিলা ভক্ত রীতিমত তাকে ঈর্ষা করে। সেই চুল একই তারই ছিল না ছোট বেলায়। ছোটবেলায় মূলত বয়কাট চুল রাখতেন তিনি। আর স্কুলে একেবারে মার্দানি ছিলেন তিনি। ক্লাস ফোরে ওঠার আগে মারপিট পর্যন্ত করেছেন। কিন্তু মা বাবা স্কুলে দিতে ও আনতে যেত বরাবর তাই প্রেম বা স্কুল বাঙ্ক কোনোটাই আর করা হয়নি।