ঝরঝরে নয়, বরং ভাঙা ভাঙা বাংলা বলেই এক সময় ইন্ডাস্ট্রি কাঁপিয়েছিলেন মৌসুমি চ্যাটার্জি (Mousumi Chatterjee)। ১৯৭০ এর দশকে বলিউডের সর্বাধিক পারিশ্রমিক প্রাপ্ত অভিনেত্রীদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন তিনি। অমিতাভ বচ্চন, জিতেন্দ্র থেকে শুরু করে টলিউডের মহানায়ক উত্তম কুমার সকলের সাথেই একাধিক হিট ছবি উপহার দিয়েছেন অভিনেত্রী। হিন্দির পাশাপাশি বাংলা ছবিতেও ছিল তাঁর অবাধ যাতায়াত।
যখন বালিকা বধূর শ্যুটিং চলছে সেইসময় অভিনেত্রী নাবালিকা৷ এক দেখাতেই পরিচালক তরুণ মজুমদারের চোখে পড়ে যান তিনি। ১৯৭২ সালে বিনোদ মেহরার সঙ্গে অনুরাগ ছবিতে বলিউডে পা রাখেন মৌসুমি। ছবির পরিচালক ছিলেন শক্তি সামন্ত। এরপর একের পর এক ছবি তাঁর ব্লকব্লাস্টার হিট। শেষ এই বর্ষীয়ান অভিনেত্রীর দেখা মিলেছিল ২০১৩ সালের ‘গয়নার বাক্স’ ছবিতে। শোনা যাচ্ছে, দীর্ঘ ৯ বছর পর নাকি ‘ কিশমিশ ‘ এর পরিচালক রাহুল মুখোপাধ্যায়ের নতুন ছবি ‘দিলখুশ’ এর হাত ধরেই পর্দায় প্রত্যাবর্তন করবেন অভিনেত্রী।
সত্তর আশির দশকের সুপারহিট নায়িকাকে বড় পর্দায় দেখার আনন্দে যখন যারপরনাই খুশি দর্শকেরা, তখনই এক জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যম খোদ অভিনেত্রীর কাছে প্রশ্ন রাখেন ছবির ব্যাপারে। কিন্তু কথা বলতেই, মৌসুমির গলায় শোনা যায় অন্য সুর৷ তাঁর সাফ কথা, “আমি হ্যাঁ বা না কোনওটাই রাহুলকে এখনও জানাইনি। তবে চিত্রনাট্য পড়ে খুব মুগ্ধ হইনি।” নায়িকার কথা শুনে পরিচালক চিত্রনাট্য বদলানোর আশ্বাস দেন ঠিকই, তবে তাতেও অভিনেত্রীর দাবি, ”আমার কথা মতো ও চিত্রনাট্যেও কিছুটা পরিবর্তন করে। ভালই লিখেছে, তবে এখনও খুব ভাল লাগেনি সবটা।’’
তবে কেন চিত্রনাট্য তার পছন্দ না সে কোথাও জানিয়েছেন মৌসুমি। তার কথায় টাকার জন্য কাজ তিনি করেন না, ভালো চিত্রনাট্য আর চরিত্র না পেলে সেই ছবি মৌসুমি করেন না। অভিনেত্রীর দাবি, “এই ছবির মাধ্যমে দর্শককে রাহুল যে বার্তা দিতে চাইছে, তার সঙ্গে আমি সহমত নই। এক জন ৬৫ বছরের বৃদ্ধা এবং ৭০ বছরের বৃদ্ধের লিভ-ইনের কাহিনি। এই গল্প দর্শককে বলতে আমার মন সায় দিচ্ছে না।” এই গল্পে বৃদ্ধার নাতনি হয়ে গিয়েছে, তার সামনে লিভ ইন করছেন এই বার্তা তিনি দিতে রাজি নন।