একটি মুদ্রার এপিঠ ওপিঠের মতোই ছিলেন কেকে ওরফে কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ (Krishna Kumar kunnath) এবং অভিনেতা ইমরান হাসমি (Emraan Hashmi)। ইমরান হাসমির ঠোঁটে কেকের গান আজও এই জেনারেশনের কাছে নস্টালজিয়া। একসময় ইমরানের ‘কন্ঠ’ বলা হত কেকে-কে। কেননা অভিনেতার জন্য সবচেয়ে বেশি গান তিনিই গেয়েছেন। কিন্তু সেই জনপ্রিয় জুটি এবার ভেঙে গেল কেকের মৃত্যুতে।
মৃত্যুর আগে পর্যন্তও সেদিন কলকাতার নজরুল মঞ্চে গানে গানে মঞ্চ মাতিয়ে রেখেছিলেন শিল্পী। নব্বইয়ের দশকের গোটা জেনারেশনের কাছে কে কে শুধু একজন শিল্পী নন, তিনি হলেন আবেগের আর এক নাম, আবার কারও রাত জাগার সঙ্গীও বটে। কে কে-র প্রয়াণে ক্ষত বিক্ষত ভক্তদের মন। এই শূন্যতা অপূরণীয়। অনুরাগীদের একটা বড় অংশের মতে এভাবেই ধীরে ধীরে হচ্ছে শেষ হয়ে যাচ্ছে তাদের ছেলেবেলা।
কেকের অকাল প্রয়াণে স্তব্ধতা নেমে এসেছিল গোটা দেশ জুড়েই। এবার নিজের ‘কণ্ঠ’ হারিয়ে ফেলার অভিজ্ঞতা শেয়ার করলেন অভিনেতা। দুঃসংবাদটি শোনার পর বেশ কিছুক্ষণ কথা বলতে পারেননি অভিনেতা। মনের মধ্যে ভীড় করে আসছিল অসংখ্য স্মৃতি। একের পর এক জনপ্রিয় গান। ইমরানের ছবি মানুষ রোজ না দেখলেও, তার ছবিতে গাওয়া কেকের সব গান মানুষের অভ্যাসের মত ছিল।
যার জন্য জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছেছিলেন ইমরান, সেই মানুষটাই নাকি আজ নেই। একথা কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারছিলেন না ইমরান। ‘জরা সা দিল মে’, ‘তুহি মেরি সব হ্যায়’, ‘বিতে লমহে’, ‘দিল ইবাদত’ এর মত একের পর এক সব যুগলবন্দী কেকে ইমরানের। যেসমস্ত গানের বিকল্প আজও তৈরি হয়নি। ছেড়ে গিয়েছেন কেকে, গান গুলো আঁকড়ে এখন একাকী অভিনেতা ইমরান।