ইন্ডাস্ট্রিতে বেশ কয়েক দশক কাটিয়ে ফেলেছেন অভিনেত্রী কল্যাণী মন্ডল ( Kalyani Mondal ), বয়স তাও নেই নেই করে ৮০ পার করেছেন। কিন্তু সে তো সংখ্যা মাত্র ,অভিনেত্রী হিসেবে আজও তিনি ফিট এন্ড ফাইন। প্রচুর সিরিয়ালে ( Bengali serial ) অভিনয় করেছেন এই অভিনেত্রী। তবে বড় পর্দায় তার খুব একটা আনাগোনা নেই তার , ছোটপর্দায় কাজ করেই আপাতত তার নেশা এবঙ পেশা উভয়ই রক্ষা হচ্ছে। ইন্ডাস্ট্রির দাওয়াতে অভিনেত্রী হওয়া সত্ত্বেও তিনি বড় পর্দা থেকে একেবারে ব্রাত্য।
অথচ এই বর্ষীয়ান অভিনেত্রী কাজ করেছেন মহানায়ক উত্তম কুমারের সাথে। ছোট পর্দাতেও দাপুটে অভিনয়ে অসংখ্য মানুষের মন জিতেছেন তিনি, কিন্তু অভিনেত্রীর আক্ষেপ আজ পর্যন্ত তার সৌভাগ্য হয়নি বড়ো পর্দায় কাজ করার। ফোন করে কাজ চাইতে এই বয়সে অসম্মানে লাগে , তাই আরও হয়ত পিছিয়ে আছেন তিনি। কিন্তু কল্যাণী দেবীর ইচ্ছে , চরিত্রে অভিনয় করার।
সাক্ষাৎকারে ,কল্যাণী মন্ডল আরো উল্লেখ করে জানান এই মুহূর্তে বাংলা ছবি ভীষণ ঘরভিত্তিক হয়ে গিয়েছে। অর্থাৎ যারা কাজ পাচ্ছেন তারা দিনের পর দিন একই প্রডাকশন হাউজ একই সংস্থার হয়ে কাজ করেই চলেছেন। বাঁধাধরা শিল্পী ছাড়া বিশেষ বদল দেখায় যায়না তাদের ছবি বা ধারাবাহিকে। তবে কোনো দিন কাউকে ফোন করে কাজ চাননি বা বলতে পারেননি। যখন যে কাজ পেয়েছেন তাই করেছেন হাসি মুখে। কিন্তু একসময়ের এই জনপ্রিয় এক অভিনেত্রীকে টলিউড ভুলতে বসেছে।
যখন তিনি ইন্ডাস্ট্রিতে এসেছিলেন কেরিয়ারের শুরুতে তখন তার বয়স অনেক কম। বড়পর্দায় উত্তম কুমারের সঙ্গে ‘সন্ন্যাসী রাজা’, ‘আলো আমার আলো’, ‘আপন শত্রু’র মতো ছবিতে অভিনয় করেছেন কল্যাণী দেবী । তাঁর কোথায় , ‘তখন ছবির সেটে সকলেই একটি পরিবারের মতন ছিল।’ সাক্ষাৎকারে সেই সুখস্মৃতি শেয়ার করেই অভিনেত্রী আরো জানান , উত্তম কুমারকে ‘জেঠু’ বলে ডাকতেন তিনি। মহানায়কের বাড়ি থেকে দুপুর বা রাতের খাবার এলে ছোট্ট কল্যাণীকে ডেকে নিতেন তিনি মেকআপ রুমে। তারপর উত্তমের সাথেই পত্ পেরে বসে খেতেন ছোট্ট কল্যাণী। এই মুহূর্তে ‘উড়ন তুবড়ি ‘ ধারাবাহিকে অভিনয় করছেন অভিনেত্রী।