আবারও আত্মহত্যার খবর! একেরপর এক মডেল ও অভিনেত্রীদের মৃত্যু হয়েই চলেছে। এদিন আবারও এক মডেলের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেল। এক্ষেত্রেও ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হল দেহ। প্রথমে গড়ফা, তারপর নাগের বাজার, এরপর পাটুল আর এবার কসবা একেরপর এক এমন রহস্য মৃত্যু যেন অবিশ্বাস্য ব্যাপার হয়ে যাচ্ছে আমজনতার কাছে। এদিন কসবার বেদিয়াডাঙ্গা এলাকা থেকে সরস্বতী দাস (Saraswati Das) নামের মডেলের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে।
মৃত্যুকালীন সরস্বতীর বয়স হয়েছিল মাত্র ১৯ বছর। যেমনটা জানা যাচ্ছে মামা বাড়িতে থাকতেন ওই মডেল। সেখানেই রবিবার ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে তাঁর দেহ। রবিবার বাড়িতে একাই ছিলেন সরস্বতী, সেই সময়েই তিনি আত্মহত্যার মত চরম সিদ্ধান্ত নেন। তবে কেন আত্মহত্যা করলেন তিনি সেই নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে কসবা থানার পুলিশ।
সূত্রমতে জানা গিয়েছে মডেলিংয়ের কাজের মধ্যে দিয়েই নিজের পরিচিতি তৈরী করতে সচেষ্ট ছিলেন সরস্বতী। সম্প্রতি বেশ কিছু ফটোশুটের কাজও করেছিলেন তিনি। কিন্তু মাত্র ১৯ বছর বয়সে জীবনের এমন একটা চরম সিদ্ধান্ত কেন নিতে হল তাকে ? এটাই এখন প্রশ্নের বিষয়। প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা করেছেন বলেই সন্দেহ পুলিশের। তবে মৃত্যের আশেপাশে এপর্যন্ত কোনো সুইসাইড নোট মেলেনি।
প্রসঙ্গত, মে মাসের ১৫ তারিখ থেকেই যেন অশুভ সময় শুরু হয়েছে টলি জগতে। সর্বপ্রথম খারাপ খবর আসে গড়ফা থেকে। অভিনেত্রী পল্লবী দের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। হাসি খুশি অভিনেত্রী কেন আত্মহত্যা করেন সেই নিয়ে তদন্ত ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। আত্মহত্যার থেকে খুনের দিকে এগিয়েছে মামলা। পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়েছে প্রেমিক সাগ্নিককে।
এরপরেই নাগেরবাজার এলাকা থেকে উদ্ধার হয় মডেল অভিনেত্রী বিদিশা দে মজুমদারের দেহ। অভিনেত্রী কেন আত্মহত্যা করলেন? কাজের চাপ নাকি মানসিক অবসাদ নাকি সম্পর্কের টানা পোড়েন? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে চলেছে পুলিশ।
দুই অভিনেত্রীর মৃত্যুর খবর সামলে ওঠার আগেই বিদিশার মৃত্যুর পরের দিনই খবর আসে আরও এক মডেলের মত্যুর। পাটুলি থেকে উদ্ধার হয় মঞ্জুষা নিয়োগীর ঝুলন্ত দেহ। এরপর আবারো চতুর্থ মৃত্যুর খবরে রীতিমত চিন্তায় ফেলে দিয়েছে বিনোদন জগতের অভিনেতা অভিনেত্রীদের।