সম্প্রতি টলিপাড়ায় যেন গ্রহণ লেগেছে একেরপর এক অভিনেত্রীদের মৃত্যুর খবর (Tollywood actress deaths) মিলছে। প্রথমে পল্লবী দে (Pallavi Dey), তারপর বিদিশা দে মজুমদার (Bidisha Dey Majumder) আর আজ মঞ্জুষা নিয়োগী (Manjusha Neogi)। একে একে উঠতি মডেল তথা অভিনেত্রীদের মৃত্যু সংবাদে যেন শোকস্তব্ধ হয়ে যাচ্ছে ইন্ডাস্ট্রি। দুসপ্তাহের মধ্যে তিন অভিনেত্রীর প্রাণ চলে গেল তাও আত্মহত্যা। অভিনেত্রীদের মৃত্যু নিয়ে হাজারো প্রশ্ন থেকে রহস্যের জাল ঘন হচ্ছে। তবে এবার অভিনেত্রীদের মৃত্যু নিয়ে মুখ খুললেন টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী সঞ্চালিকা রচনা ব্যানার্জী (Rachana Banerjee)।
একসময় যেমন টলিউডের সুপারহিট নায়িকা ছিলেন, তেমনি দিদি নং ১ এর মঞ্চেও সুপারহিট রচনা ব্যানার্জী। সম্প্রতি একেরপর এক অভিনেত্রীদের মৃত্যুতে নিজের মন্তব্য রাখলেন অভিনেত্রী। তাঁর মতে বর্তমান প্রজন্ম স্ট্রাগল করতে শেখেনি। সমস্ত কিছু তাদের মুখের সামনে এনে তুলে ধরতে হয়। কিছু না করলেও কাজ চাই, আর না পেলেই অবসাদ তারপর চরম সিদ্ধান্ত নিয়ে আত্মহত্যা।
অভিনেত্রীর মতে, তাদের সময়টা একেবারেই আলাদা ছিল। সেই সময় পায়ের তলার মাটি আঁকড়ে ধরে সংঘর্ষ করে যেতে হয়েছে। কেউ হাতের সামনে কিছু গুছিয়ে এনে দেয়নি। আর এখনকার দিনে সেটা যত জলদি সম্ভব চাই। স্কুল শেষ হতেই সব সিরিয়ালে চলে আসছে অভিনয়ের জন্য। অভিনয় করে টাকা হাতে পেতেই শুরু ফুর্তি। এটাই এখন তাদের কাছে জীবন।
এদিকে এই মেয়েদের জন্য দোষী হতে হয় বাবা মায়েদের। এখানেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন রচনা। কারণ মা বাবার সর্বদাই সন্তানদের ভালো চায় ,অথচ সন্তানরা তাদের কথা শুতেই চাই না। অভিনেত্রীর স্পষ্ট মন্তব্য এই মেয়েদের জন্য বিন্দুমাত্র কষ্ট হয়না। বদলে তাদের মা বাবার জন্য খারাপ লাগে।
রচনা ব্যানার্জীর মতে, একটা ছেলের জন্য কোনো দিনই নিজের জীবন এভাবে শেষ করাটা উচিত নয়। কেন নিজের জীবনের নিয়ন্ত্রণ অন্য কারোর হাতে তুলে দেব! অভিনেত্রী এদিন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বর্তমান প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের কাছে বন্ধুরাই সব। আর কষ্ট করে মানুষ করে তোলা মা বাবারাই শুত্রু।
প্রসঙ্গত, শুধু অভিনেত্রীদের নয় নিজের ছেলেকেও কথা শোনাতে ছাড়েননি তিনি। ছেলে প্রনীলকে ‘বেয়াড়া’ বলে জানিয়েছেন রচনা। ছেলেকে হাজার বোঝানোর চেষ্টা করলেও ছেলের দাবি একটাই মা নাকি ভুল! তাই প্রয়াত এই অভিনেত্রীদের মা বাবাদের জন্য কষ্ট প্রকাশ করেছেন তিনি। কাজ নাপেলে একটা ছেলের তৃতীয় বৌ না হয়ে উঠতে পারলে গলায় দড়ি দিতে হবে! এদের ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে কাউন্সিলিং করানোর প্রয়োজন, এমনটাই মনে করেন অভিনেত্রী।