বাঙালি দর্শকদের প্রতিদিনের বিনোদনের জন্য টেলিভিশনের পর্দায় আসে একাধিক সিরিয়াল। আর এমনই সমস্ত জনপ্রিয় সিরিয়ালের চিত্রনাট্য লেখিকা লীনা গঙ্গোপাধ্যায় (Leena Ganguly)। লেখিকাকে নিয়ে মাহে মধ্যেই নেটপাড়ায় তুমুল চর্চা বা বলা ভালো সমালোচনা হতে দেখা যায়। দর্শকদের অভিযোগ সিরিয়ালে খালি কূটকচালি, অশান্তি আর পরকীয়ার কাহিনী তুলে ধরেন তিনি। তবে এবার সেরা লেখিকা হিসাবে (Best Writer) বঙ্গনারীর পুরস্কার (Bongo Nari Awards) পেলেন লীনা গঙ্গোপাধ্যায়।
সম্প্রতি এক বেসরকারি সংস্থা বিশেষ সন্মান জানিয়েছে বিনোদন জগতের ব্যক্তিত্বদের। সেখানেই সেরা বঙ্গনারীর পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়েছে লীনা গঙ্গোপাধ্যায়কে। ইতিমধ্যেই সেই খবর সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে পড়েছে। আর খবর ছড়িয়ে পড়তেই নেটিজেনদের সমালোচনার শিকার হতে হয়েছে লেখিকাকে।
নেটিজেনদের অভিযোগ, মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন লীনা গঙ্গোপাধ্যায়। অথচ তিনি এই ধরনের সিরিয়ালের কাহিনী লিখেচলেছেন। কেন এসব লিখে পরকীয়াকে উসকানি দেওয়া গল্প? কেন এভাবে মহিলাদের অসম্মান করা হয়? এই ধরণের কাহিনীর চিত্রনাট্য লেখার পরেও কিভাবে সেরা বঙ্গনারীর সম্মান দেওয়া হয় তাকে! এই প্রশ্ন নিয়েই ক্ষুদ্ধ নেটিজেনরা।
আজকাল প্রায়শই সিরিয়াল শুরু হওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই বিয়ের ট্র্যাক দেখা যায়। আর বিয়ের ক্ষেত্রেও সুস্থ স্বাভাবিক বিয়ে নয় বরং কখনো উড়ন্ত সিঁদুর তো কখনো উড়ন্ত মালা গলায় পরে বিয়ে হয়ে যাচ্ছে। এমন সমস্ত নাটকীয় বিয়ে দেখার পরেই সোশ্যাল মিডিয়াতে ট্রোলিং, কটাক্ষ থেকে শুরু করে মিমের বন্যা বয়ে যায়।
যদিও এসমস্ত ট্রোলের দিকে কখনোই পাত্তা দেননি লেখিকা। তিনি অনেক আগেই জানিয়েছিলেন, বহু বছর ধরেই তার লেখা সিরিয়াল টপার হয়ে আসছে। তাই এখন আর সেভাবে সিরিয়াল টপার হলে নতুন করে উত্তেজিত হই না। তবে হ্যাঁ সাফল্য পেলে সবার যেমন ভালো লাগে তেমনটা অবশই লাগে।
ইষ্টিকুটুম, জলনুপুর, অন্দরমহল, শ্রীময়ী এর মত একাধিক সুপারহিট মেগা সিরিয়ালের চিত্রনাট্য লিখছেন তিনি। এমনকি বর্তমানে খড়কুটো, গুড্ডি, সোনা রোদের গান, ধূলোকণা এইসমস্ত সিরিয়ালগুলির চিত্রনাট্যের কাজ তিনিই সামলাচ্ছেন। যেখানেবিগত কয়েকসপ্তাহে বাকিসমস্ত কড়াটেক্কা দিয়েছে লালন-ফুলঝুরির কাহিনী ধূলোকণা।