শরীরের যেকোনোও জায়গাতেই অবাঞ্চিত লোম থাকলে তা সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে একটি বড়সড় বাধা হয়ে দাঁড়ায়। যেভাবেই সাজুন, যা পোশাকই পরুন না কেন হাতে, পায়ে, ঠোঁটের উপরে বা গালে যদি লোম থাকতে তা দেখতে দৃষ্টিকটু লাগে৷ অবশ্য অনেকেই শরীরে এই অবাঞ্চিত লোম নিয়েও আত্মবিশ্বাসের সাথে চলা ফেরা করতে সক্ষম হন, তাদের বঙট্রেন্ড কুর্নিশ জানায়৷ কিন্তু যারা এর জন্য লজ্জা পান তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতেই আজকের এই ঘরোয়া টোটকা।
এই লোম তোলার নানান পদ্ধতি রয়েছে যেমন রেজার ব্যবহার, ওয়াক্সিং, হেয়ার রিমুভাল ক্রিমের ব্যবহার ইত্যাদি। কিন্তু আজ আপনাদের জানিয়ে রাখি পার্লারে না গিয়ে কোনোরকম কেমিক্যাল ব্যবহার না করেও কিন্তু এই লোমের গ্রোথ কমানো, বা তুলে ফেলা সম্ভব। আসলে বাজারের প্রচলিত ক্রিমের ব্যবহারে কিন্তু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকার ভয় থাকে, কিন্তু এই ঘরোয়া উপায় ব্যবহার করে একদম নিরাপদে অবাঞ্চিত লোম দূর করা সম্ভব৷
প্রাকৃতিক উপায়ে মুখের বা অন্যান্য জায়গার লোম দূর করতে এই পদ্ধতি গুলো পরীক্ষা করে দেখতে পারেন।
চিনি ও মধুর মিশ্রণ-
মধুর সঙ্গে সম পরিমাণ চিনি নিয়ে একটি পাত্রে গরম করতে হবে যতক্ষণ মিশ্রণটি মোটা আঠালো না হচ্ছে। এরপর ওই মিশ্রণে একটু লেবুর রস মিশিয়ে ফুটে উঠলে নামিয়ে নিতে হবে। এরপর লোমে পরিপূর্ণ জায়গার উপর গা সওয়া গরম অবস্থাতেই মিশ্রণটি লাগিয়ে টিস্যু পেপার বা নরম কাপড় দিয়ে হালকা শুকোতেই উলটো দিকে টেনে তুলে ফেলুন লোম।
কাঁচা হলুদ ও দুধের পেস্ট –
আরও একটি কার্যকরী এবং নিরাপদ প্যাক হল কাঁচা হলুদ ও দুধের পেস্ট৷ দুধের সাথে বেশি করে কাঁচা হলুদ বাটা মিশিয়ে ঠোঁটের উপর, বা গালে লাগিয়ে নিতে হবে। এরপর শুকিয়ে গেলে মিশ্রণটি ঘষে ঘষে তুলে, ঠান্ডা জলে মুখ ধুয়ে নিন।
ওটমিল এবং কলা –
২ টেবিল চামচ ওটমিল গুঁড়োর সঙ্গে একটা পাকা কলা মিশিয়ে নিন ভালো করে। এই পেস্টটা ১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। তারপর ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। লোম দূর করার সাথে সাথে আপনার স্কিনে ঔজ্বল্য আনবে এই প্যাক। ব্ল্যাকহেডসের সমস্যায় ভুগছেন? দেখুন ব্ল্যাকহেডস দূর করার ঘরোয়া উপায়..