এখনও দুসপ্তাহও হয়নি অভিনেত্রী পল্লবী দে (Pallavi Dey) প্রয়াত হয়েছেন। এবার আবারও এক রহস্য মৃত্যু ঘটল টলিপাড়ায়। গড়ফা থেকে ১৫ই মে পল্লবীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। এবার ১০ দিনের মাথায় টলিউডের আরও এক মডেল অভিনেত্রী বিদিশা দে মজুমদারের (Bidisha Dey Majumder) ঝুলন্ত দেহ মিলল। একজনের মৃত্যুর শোক কাটার আগেই আরও এক মৃত্যুর খবরে চিন্তিত টলিপাড়া।
বর্তমানে উঠতি মডেল অভিনেত্রী হিসাবে বেশ পরিচিত ছিলেন বিদিশা। মাত্র ২১ বছর বয়স হয়েছিল অভিনেত্রীর। দমদমের নাগের বাজার এলাকায় ফ্ল্যাটে থাকতেন। একা নয় শুরুতে মা বাবার সাথেই থাকতেন বিদিশা, আড়াই মাস আগেই ভাড়া এসেছিলেন। সেখান থেকেই অভিনেত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
বিগত চার বছর যাবৎ বাংলা ফ্যাশন জগতে তাঁর আনাগোনা। ফ্যাশন শুটের পাশাপাশি বিভিন্ন শোয়ের জন্য কলও পেতেন তিনি। ভাঁড়: দ্য ক্লাউন নামে একটি ছবিতেও অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিল অভিনেত্রীকে। টাকা পয়সার অভাব সেভাবে ছিল না, তবে কি এক্ষেত্রেও মানসিক অবসাদই প্রাণ কেড়ে নিল আরও এক অভিনেত্রীর? বিদিশার মৃত্যুতে এই প্রশ্নই উঠে আসছে বারেবারে।
তবে বিদিশার মৃত্যু কি আদৌ আত্মহত্যা নাকি খুন? ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে নাগের বাজার থানার পুলিশ। ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে অভিনেত্রীর দেহ, চলছে জিজ্ঞাসাবাদ। বন্ধু বান্ধবীদের থেকে যেমনটা জানা যাচ্ছে, বুধবার ভোর বেলাতেও তাকে অনলাইন দেখা গিয়েছে। তারপর আর কারোর সাথে যোগাযোগ হয়নি।
কাজের চাপ থাকলে সকাল সকাল উঠে পড়তেন, কিন্তু কাজ না থাকলে দেরি করেই ঘুম থেকে উঠ্ততেন বিদিশা। বাড়ির সকলে ও পরিচারিকা সকলেই একথা জানতেন। তাই শুরুতে দরজা বন্ধ থাকলেও কেউ সেভাবে কিছু আঁচ করতে পারেনি। এরপর বিকেল পেরিয়ে গেলেও দরজা না খোলায় ফ্ল্যাটমেট দিশানী দরজা খুলতেই দেখেন গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলে রয়েছেন বিদিশা। তারপরেই খবর দেওয়া হয় পুলিশ ও পরিচিতদের।
তবে ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা যাচ্ছে পল্লবীর মত তার সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছিল। কিছুদিন আগে পল্লবীর মারা যাওয়ার খবরে নাকি ‘পল্লবীর মত আমারও ফুরিয়ে যেতে ইচ্ছা করছে আমার!’ একথা বলেছিলেন এক কাছের মানুষকে। অনেকের মতেই দিন দিন ঝিমিয়ে পড়ছিলেন অভিনেত্রী। তবে কি সত্যিই সম্পর্কের টানাপোড়েন আর মানসিক অবসাদের জেরেই আত্মহত্যা? এইপ্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, এরই মধ্যে উঠে এসেছে আরও একটি তথ্য। একজন নয় একাধিক ব্যক্তির সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন বিদিশা। প্রথমে রাজারহাটের এক যুবকের সাথে সম্পর্ক ছিল, কিন্তু সেটা ভেঙে গিয়েছিল। এরপর হ্যান্ডসাম এক শরীরচর্চার প্রশিক্ষকের সাথে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন তিনি। সম্প্রতি নাকি শারীরিক সমস্যার কারণে ডাক্তার দেখিয়েছিলেন, আলট্রা সোনোগ্রাফির পরামর্শও দিয়েছিল ডাক্তার।