বিনোদন জগত মানেই ঝাঁচকচকে গ্লামার ওলার্ড। চাকচিক্যপূর্ণ এই জগতে অভিনয় করতে মাথা ঘুরে যায় অনেকের। লাইট ক্যামেরা অ্যাকশনের দুনিয়ায় নাম যশ খ্যাতির আমোঘ আকর্ষণ উপেক্ষা করার ক্ষমতা নেই কারও। এমন আলো ঝমলমলে দুনিয়ায় আসতেই চোখ ধাঁধিয়ে যায় অনেকের। বিশেষ করে চাকচিক্যময় এই গ্লামার ওয়ার্ল্ড কে দূর থেকে দেখে অনেকেই ইন্ডাস্ট্রি সম্পর্ক নানারকম ধারণা পোষণ করে থাকেন।
বিশেষ করে এই পেশার অনিশ্চয়তা নিয়ে অনেক বেশী করে সন্দিহান আম জনতা। একটা সময় তো এমন ছিল অভিনয় যে কারও পেশা হতে পারে এই কথা টাই মানতে চাইতেন না অনেকে। কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে ছোটো থেকেই অভিনেতা হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে আবার কেউ পরিস্থিতির চাপে একপ্রকার বাধ্য হয়ে এই পেশায় আসেন।
তবে অভিনয় করা মানেই কিন্তু এই নয় সেই অভিনেতা অভিনেত্রীর পেটে বিদ্যা নেই বা পড়াশোনার সাথে কোনো পরিচয় পর্যন্ত নেই। এমনই ভুল ধারণা পোষণ করে থাকেন অনেকে। তবে এই ধারণা যে অতটা ভুল তার অন্যতম জলজ্যান্ত উদাহরণ হলেন বাংলা টেলিভিশন জগতের অন্যতম পরিচিত মুখ তথা ভিনেত্রী ত্রমিলা ভট্টাচার্য (Tramila Bhattacharjee)। বাবার মৃত্যুর পরেও যাতে পড়াশোনা না বন্ধ করতে হয়, তাই অর্থের প্রয়োজনে একপ্রকার বাধ্য হয়েই পা রেখেছিলেন অভিনয় জগতে।
ডিডি বাংলার ‘সীমারেখা’ (Simarekha)ধারাবাহিকের হাত ধরেই পা রেখেছিলেন লাইট ক্যামেরা অ্যাকশনের দুনিয়ায়। পরবর্তীতে একাধিক জনপ্রিয় ধারাবাহিকে দাপিয়ে অভিনয় করেছেন ত্রমিলা। বেশীরভাগ সিরিয়ালেই খলনায়িকার চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। বর্তমানে ‘মৌ এর বাড়ি’ (Mou Er Bari) ধারাবাহিকে অভিনয় করলেও জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘পটল কুমার গানওয়ালা’য় তার চরিত্রটি ছাপ ফেলে গিয়েছে দর্শকদের মনে।
একজন দক্ষ অভিনেত্রী হওয়ার পাশাপাশি ত্রমিলা একজন প্রশিক্ষিত ওড়িশি নৃত্যশিল্পী। শুধু তাই নয় পড়াশোনার প্রতিও যথেষ্ট দখল রয়েছে তার। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন কীভাবে অকালে বাবাকে হারিয়ে কঠিন লড়াইয়ের মধ্যে বড় হয়েছেন তিনি। পড়াশোনার খরচ জোগাতে করেছেন অভিনয়। তারপরেও সবসময় পড়াশোনাকেই অগ্রাধিকার দিয়েছেন ত্রমিলা।
কমার্স নিয়ে স্নাতক করে বিয়ের পর, স্বামীর সাথে বিদেশে গিয়ে সেখান থেকে মিডিয়া স্টাডিজ ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশনে স্নাতকোত্তর করেন অভিনেত্রী। তবে ব্যক্তিগত কারণের জন্য CA সম্পন্ন করতে পারেননি তিনি। তবে অভিনেত্রীর আফসোস “অনেক লোক মনে করে যে অভিনেতারা অশিক্ষিত এবং কখনও কখনও তাদের অবজ্ঞা করে। আমি মনে করি এটা ভুল প্রমাণ করার সময় এসেছে।”