শাহরুখ খান (Shahrukh Khan) নামটাই যথেষ্ট। বয়সের সাথে দিনে দিনে বাড়ছে কিং খানের জনপ্রিয়তাও। ভক্তদের কাছে বরাবরই তিনি কিং অফ রোম্যান্স। তাই টিভির পর্দায় তাঁর কয়েক মুহুর্তের উপস্থিতি আজও ঝড় তোলে অসংখ্য তরুণীর হৃদয়ে। শুধু তাই নয় প্রতিদিন অভিনেতা অভিনেত্রী হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে মায়া নগরী মুম্বাইতে আসা অসংখ্য উঠতি প্রতিভাদের অনুপ্রেরণা তিনি।
দীর্ঘ চড়াই উৎড়াই পেরিয়ে আজ তিনি বলিউড বাদশা। যদিও সকলেই জানেন কিং খানের এই সাফল্য কিন্তু রাতারাতি আসেনি। অনেক লড়াই শেষে আজ তিনি গোটা মুম্বাই শহরে ‘রাজ’ করেন। থাকেনও রাজার হালে সাতমহলা প্রাসাদের মতো বাড়ি মন্নতে। তবে অনেকেই হয়তো জানেন না এহেন কিং খানকেই একবার মুম্বাইয়ের এক সিনেমা হলে টিকিট কাউন্টারে বসে টিকিট বিক্রি করতে হয়েছিল।
তবে এই টিকিট বিক্রি করার পিছনেও রয়েছে একটা কারণ। সিনেমা প্রচার করার অভিনব কৌশল। প্রসঙ্গত ১৯৯৪, মুক্তি পেয়েছিল শাহরুখ খান, সুচিত্রা কৃষ্ণমূর্তি ও জুহি চাওলা অভিনীত ছবি ‘কভি হাঁ কভি না’(Kabhi Haan Kabhi Naa) । এসআরকে-র কেরিয়ারের শুরুর দিকের এই সিনেমার প্রচার করতে সেসময় টিকিট বিক্রি করতে নিজেই মুম্বাইয়ের একটি সিনেমা হলে বসে গিয়েছিলেন তিনি।
বেশি সংখ্যক দর্শক টানতেই সিনেমা প্রচারের এমন অভিনব কৌশল নেওয়া হয়েছিল। দর্শকের কাছে নিজেকে আরও বেশি করে পৌঁছে দিতে সেবার মুম্বইয়ের এক সিনেমা হলের অ্যাডভান্সড টিকিট বুকিং কাউন্টারে বসে টিকিট বিক্রি করেছিলেন শাহরুখ। জানা যায় টিকিট বিক্রির পারিশ্রমিক হিসেবে শাহরুখ খানকে নাকি বেশ কিছু টাকাও দেওয়া হয়েছিল।
প্রসঙ্গত সেসময় টিকিট বিক্রি করে বাড়তি ট্রিট হিসাবে দর্শকদের জন্য বিক্রিত টিকিটের উপর সই করে দিয়েছিলেন নিজের হাতে। তাই কিংখানকে একঝলক দেখতে এবং তাঁর সই সংগ্রহ করতেই অনেকেই লাইন দিয়েছিলেন কাউন্টারের সামনে। সেসময় বক্স অফিসেও ভালোই ব্যাবসা করেছিল সিনেমাটি। তবে এও জানা যায় সেসময় এই সিনেমার জন্য নায়ক হিসাবে পরিচালকের প্রথম পছন্দ শাহরুখ নয় ছিলেন আমির খান। কিন্তু আমির তা ফিরিয়ে দেওয়ায় প্রস্তাব যায় শাহরুখের কাছে।