‘বয়স কেবল একটা সংখ্যা মাত্র’- বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কথার প্রেক্ষিতে আমরা প্রত্যেকেই এই কথাটি এই শুনে এসেছি। কিন্তু একজন ব্যক্তি রয়েছেন, যিনি এই কথাটির সত্যতা প্রমাণ করেছেন। ৯১ বছর বয়সেও মডেলিংয়ের দুনিয়ায় রাজত্ব করে তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন প্রবল ইচ্ছা শক্তি থাকলে বাকি সব কিছু মাথা নোয়াতে বাধ্য।
এখানে কথা হচ্ছে, বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক সুপারমডেলের (World’s oldest supermodel)। কারমেন ডেল-ওরেফাইসের (Carmen Dell’Orefice) নাম অনেকেই জানেন না। কিন্তু আজকের এই প্রতিবেদন পড়ার পর হয়তো অনেকেই তাঁর অদম্য ইচ্ছাশক্তিকে কুর্নিশ জানাবেন।
বিনোদন ইন্ডাস্ট্রি এমন একটি দুনিয়া যেখানে টিকে থাকা খুবই কঠিন। নতুন কেউ আসলেই পুরনোকে ছেড়ে দিতে হয় নিজের জায়গা। কিন্তু এই বিনোদন ইন্ডাস্ট্রিতেই দশকের পর দশক ধরে লড়াই করে, নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করে টিকে রয়েছেন কারমেন।
আমেরিকার এই জনপ্রিয় মডেলের কেরিয়ার শুরু হয়েছিল মাত্র ১৩ বছর বয়সে। বাসে করে ব্যালে ক্লাসে যাওয়ার সময় তাঁকে মডেলিংয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন এক নামী ফটগ্রাফারের স্ত্রী। তখন থেকেই মডেল হিসেবে কেরিয়ার শুরু তাঁর। কারমেনের মতে, তাঁর প্রথম ফটশ্যুট ‘ফ্লপ’ ছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও আর পিছন ফিরে দেখতে হয়নি তাঁকে।
১৯৪৬ সালে কারমেনের যখন মাত্র ১৫ বছর বয়স তখন তিনি নামী ফ্যাশান ম্যাগাজিন ‘ভগ’এর হয়ে প্রথম ফটোশ্যুট করেছিলেন। বহু নামী ফটগ্রাফারের প্রিয় মডেল ছিলেন তিনি। কিন্তু তা সত্ত্বেও মডেলিং থেকে যে টাকা আসত তা দিয়ে তাঁদের সংসার চলত না। অনেক কষ্ট লড়াই করেই পেট চালাতে হতো কারমেনদের।
শুধু তাই নয়, বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় এই সুপারমডেল কিন্তু নিজের দীর্ঘ কেরিয়ারে বহুবার প্রচুর চড়াই উৎরাইয়েরও সম্মুখীন হয়েছেন। বহুবার মডেলিংয়ের দুনিয়া থেকে বিদায় নেওয়ার পরেও ফের কাজের প্রতি ভালোবাসার টানে ফিরে এসেছেন তিনি। সম্প্রতি যেমন একটি নামী ফ্যাশান ম্যাগাজিনের হয়ে নগ্ন ফটোশ্যুট করে সকলকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন ৯১ বছরের কারমেন। দেখতে দেখতে তিনি যে নিজের জীবনের ৯১টি বসন্ত কাটিয়ে ফেলেছেন, তা তাঁর হটনেস দেখে সত্যিই বোঝা দায়!