সোশ্যাল মিডিয়া ভারী মজার জায়গা। মুহূর্তে বিশ্বের এক প্রান্তের খবর আরেক প্রান্তে পৌঁছে দেয় কয়েক সেকেন্ডেই। আর তার মধ্যেই একেকটা ভিডিও বা ছবি দেখে যেমন হাসতে হাসতে পেটে খিল ধরে যায়, তেমনই একেকটা অদ্ভুত ভিডিও দেখে চোখ কপালে ওঠার জোগাড় হয়। সম্প্রতি এমনই এক মহিলা ভাইরাল হয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়, যা দেখে কার্যত অবাক নেটিজেনরা।
বয়স যে সংখ্যা মাত্র তা ফের প্রমাণ করে দিল এক বৃদ্ধা। যৌবন কোনো বয়সে বেঁধে রাখা যায়না। মনের বয়স না বাড়লে কীসের বার্ধক্য? আর মানুষের জীবনে আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল ইচ্ছেশক্তি। কেউ যদি একবার মন থেকে কিছু করে দেখাতে চায়, তবে সে পারে। এমন অসংখ্য উদাহরণ আমাদের চারপাশে রয়েছে। সম্প্রতি আমেরিকায় বসবাসরত ৭১ বছর বয়সী মেরি ডাফি এমনই এক কারণে উঠে এসেছেন শিরোনামে।
এই বয়সেও তার ফিটনেসের জন্য সারা বিশ্বে আলোচিত তিনি। ছয়ের দশকে আন্তর্জাতিক পাওয়ার লিফটিং চ্যাম্পিয়ন ছিলেন তিনি। এছাড়াও রাষ্ট্রীয় এবং আন্তর্জাতিক প্রায় ৩০ টি রেকর্ড গড়েছেন মেরি ডাফি।
কিন্তু এই বয়সেও তার ফিগার তাক লাগালেও একসময় তিনি ছিলেন বেশ মোটাসোটা গোল-গাল। সেই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মেরি জানান-“১০ বছর আগে জিমকে গুরুত্ব দেওয়া শুরু করেছিলাম আমি, কারণ আমি অনুভব করেছিলাম যে আমার ওজন ক্রমেই বাড়ছে। এতটাই মোটা ছিলাম যে নিজের মুখ আয়নায় দেখে সেই সময় আর নিজেকে দেখতে ইচ্ছা করত না। এরপরই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে জিমে যাব।”
ধীরে ধীরে জিম টাকে নিজের জীবনের একটি অঙ্গ বানিয়ে নেন তিনি। জিমি বলেন, “আমি এটা বুঝতে পেরেছিলাম যত বেশি প্রশিক্ষণ নেবো,সারাদিন ততই ভালো অনুভব করবো।” মাতৃ বিয়োগের পর অসম্ভব ভেঙে পড়েছিলেন তিনি, আর ক্রমেই বাড়ছিল ওজন। তারপর তিনি জিমে যান, কঠোর পরিশ্রম আর একনিষ্ঠতা তাকে আজ এই জায়গায় এনে দাঁড় করিয়েছে।
সপ্তাহে ২০ থেকে ২৫ ঘণ্টা সময় জিমে ব্যয় করেন তিনি। মাঝে মাঝে আবার দিনে ৬ ঘন্টা শরীর চর্চা করেন তিনি। তার বক্তব্য, “৪০ বছর বয়সের থেকে ৭০ বছর বয়সে অনেক ভালো আছি বলেই আমার বিশ্বাস। অতীতকে পরিবর্তন করা যাবে না তবে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া যায়।”