কথায় আছে রাখে হরি তো মারে কে! পুরোনো দিন থেকে চলে আসা এই বাণীটি আবারো সত্যি হয়ে গেল। খুব অল্পের জন্য মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এলেন এক বৃদ্ধ। ট্রেনের নিচে পরেও অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেছেন এক বৃদ্ধ, এমনই একটি ভিডিও বেশ ভাইরাল (Viral Vidieo) হয়ে পড়েছে। এর জন্য অবশ্য ট্রেনের চালককে অসংখ্য ধন্যবাদ দেওয়া উচিত কারণ তিনি ঠিক সময়মত ব্রেক কষে ছিলেন বলেই এটা সম্ভব হয়েছে। প্রাণে বেঁচে যাওয়া বৃদ্ধের নাম হরি শঙ্কর বয়স ৭০ বছর।
বৃদ্ধের ট্রেনের তলায় এসেও প্রাণে বেঁচে যাবার এই ভিডিওটি ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়াতে ব্যাপক ভাইরাল হয়ে পড়েছে। সংবাদ সংস্থা ANI নিজের অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডেলে একটি ভিডিও শেয়ার করেছে। টুইটারে শেয়ার হওয়া ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে বৃদ্ধ ব্যক্তিটি ট্রেন ইঞ্জিনের নিচে পরে গিয়েছেন। সেখান থেকে ট্রেনের লোকো পাইলটরা লাইনে নেমে আরো কিছু লোকের সহায়তায় দ্রুত উদ্ধার করেন ওই বৃদ্ধকে।
যেমনটা জানা যাচ্ছে ঘটনাটি ঘটেছে মুম্বাইয়ের কল্যাণ রেলওয়ে স্টেশনের নিকট। মুম্বাই-বারাণসী গামী ট্রেনটির নিচেই চলে এসেছিলেন ওই বৃদ্ধ। তবে ট্রেনের ড্রাইভারেরা মিলে পরিস্থিতি বুঝতে পেরে তৎক্ষণাৎ এমার্জেন্সি ব্রেক মেরে বৃদ্ধের প্রাণ বাঁচিয়ে দেন। বৃদ্ধকে উদ্ধারের ভিডিও ক্যামেরাবন্দি হয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রকাশ্যে আসতেই মুহূর্তের মধ্যেই ভাইরাল হয়ে পড়েছে।
#WATCH | A senior citizen narrowly escaped death after a locomotive train in Mumbai's Kalyan area applied emergency brakes to save the man as he was crossing the tracks. pic.twitter.com/RwXksT3TCM
— ANI (@ANI) July 18, 2021
সংবাদ মাধ্যমসূত্রে জানা গিয়েছে, দুপুর ১২.৪৫ নাগাদ ঘটেছে। ট্রেনটি প্লাটফর্ম থেকে ছাড়ার পরেই এক বৃদ্ধকে লাইন পারা পার করতে দেখা যায়। কিন্তু সেই সময় ট্রেন চলতে শুরু করে দিয়েছে, দুর্ঘটনা আঁচ করতে পেরেই ট্রেনের চালক এস কে প্রধান ও রবি শঙ্কর ব্রেক কষে দ্রুত ট্রেন থেকে নেমে ওই বৃদ্ধকে উদ্ধার করেছেন। রেল মন্ত্রকের তরফ থেকে বৃদ্ধের প্রাণ বাঁচানোর জন্য ওই দুই লোকো পাইলটকে পুরস্কৃত করার কথা ঘোষণা করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, রেল লাইন পারাপার করা একেবারেই উচিত নয়। একথা হামেশাই নানা প্রচারের মাধ্যমে সর্বদাই মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে হাজারো চেষ্টা করেও অবৈধভাবে রেল লাইন পারাপার রোধ করা যাচ্ছে না। এভাবে রেল লাইন পারাপার করতে গিয়ে প্রতিবছর বহু মানুষ ও প্রাণীর মৃত্যু হয়। খুব কম সংখ্যক মানুষেই এই ধরণের দুর্ঘটনার থেকে বেঁচে ফিরতে সক্ষম হন।