সাধারণ মানুষ শুধু নয়, বলিউডডের (Bollywood) তারকারাও দোলের (Holi) দিন রং খেলায় মেতে ওঠেন। অনেক সেলেব তো আবার নিজের বাড়িতে রং খেলার আয়োজন করেন। সেখানে উপস্থিত হন বাকি তারকারা। তবে বি টাউনে এমন অনেক তারকা রয়েছেন যারা রং খেলা থেকে শত হস্ত দূরে থাকেন। আজকের প্রতিবেদনে বলিউডের এমন ৭ তারকার (Celebrities Don’t Play Holi) নাম তুলে ধরা হল যাদের রং খেলা একেবারেই নাপসন্দ।
করিনা কাপুর খান (Kareena Kapoor Khan)- বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী করিনা কাপুর বাকি সব উৎসব ধুমধাম করে পালন করলেও হোলি খেলেন না। কারণ তাঁর ঠাকুরদা রাজ কাপুরের মৃত্যুর পর থেকে কাপুর বংশে হোলি খেলা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর থেকে রং খেলা থেকে দূরেই থাকেন বেবো।
করণ জোহর (Karan Johar)- করিনার কাছের বন্ধু করণের নামও তালিকায় রয়েছে। শোনা যায়, ছোটবেলায় রং খেলতে প্রচণ্ড ভালোবাসতেন করণ। কিন্তু একবার নাকি হোলির সময় তাঁকে একজন ডিম ছুঁড়ে মেরেছিল। এরপর থেকেই রং খেলা বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন করণ।
অর্জুন কাপুর (Arjun Kapoor)- বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা অর্জুনও রং খেলতে একেবারেই ভালোবাসেন না। অভিনেতা ছোট বেলায় হোলি উদযাপন করতেন। কিন্তু এখন অ্যালার্জির জন্য রং খেলা বন্ধ করে দিয়েছেন তিনি।
রণবীর সিং (Ranveer Singh)- এই মুহূর্তে বলিউডের ব্যস্ততম অভিনেতাদের মধ্যে একজন হলেন রণবীর সিং। অভিনয়ের পাশাপাশি নিজের অত্যাধুনিক ফ্যাশান সেন্সের মাধ্যমেও অনুরাগীদের মুগ্ধ করেন তিনি। তবে বি টাউনের এই জনপ্রিয় অভিনেতার রং খেলেন না। রণবীরের নাকি ওসিডি অর্থাৎ পরিচ্ছন্নতা নিয়ে সমস্যা রয়েছে। সেই জন্য রং খেলা থেকে শত হস্ত দূরে থাকেন তিনি।
জন আব্রাহাম (John Abraham)- বলিউডের আর এক জনপ্রিয় অভিনেতা জনের নামও লিস্টে রয়েছে। বি টাউনের এই সুদর্শন অভিনেতা কখনও রং খেলেননি। কারণ তাঁর মনে হয়, হোলির সময় অনেকে জোর করে গায়ে রং লাগিয়ে দেয়। আর এই বিষয়টি একেবারেই পছন্দ নয় জনের।
টাইগার শ্রফ (Tiger Shroff)- বি টাউনের ‘অ্যাকশন হিরো’ টাইগারও রং খেলেন না। পর্দায় একাধিক ভিলেনকে তুলোধোনা করা এই নায়ক নাকি রংকে ভয় পান। সেই জন্য হোলির সময় রং খেলা থেকে দূরে থাকতেই পছন্দ করেন টাইগার।
রণবীর কাপুর (Ranbir Kapoor)- বলিউডের সম্ভ্রান্ত কাপুর পরিবারের ছেলে রণবীরের নামও তালিকায় রয়েছে। পর্দায় বহুবার তাঁকে রং খেলতে দেখা গেলেও বাস্তবে রং খেলেন না তিনি।
করিনার মতোই রণবীরও তাঁর ঠাকুরদার রাজ কাপুরের মৃত্যুর পর থেকে রং খেলা বন্ধ করে দিয়েছেন। কারণ রং খেলতে গেলেই নাকি তাঁর ঠাকুরদার কথা মনে পড়ে যায়।