বলিউডে নায়িকা (Bollywood Actress) মানেই তাঁর জীবন হবে একেবারে রূপকথার মতো। দুঃখ, কষ্টের কোনও লেশমাত্র থাকবে না সেখানে। কমবেশি আমরা সকলেই এমন ধারণা পোষণ করি। কিন্তু বাস্তবটা যে বড় কঠিন। বলিউড নায়িকা মানেই তাঁর জীবনে সবসময় যে সুখ থাকে তা নয়। হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে এমন অনেক অভিনেত্রী রয়েছেন যারা কেরিয়ারে সফল হলেও নিজের পার্টনারের হাতে মার (Domestic Violence) পর্যন্ত খেয়েছেন। আজকের প্রতিবেদনে এমন ৭ বলি নায়িকার নাম তুলে ধরা হল যারা গার্হস্থ্য হিংসার শিকার।
করিশ্মা কাপুর (Karishma Kapoor)- বলিউডের অন্যতম সফল অভিনেত্রী করিশ্মা কাপুর নিজের কেরিয়ারের শীর্ষে থাকাকালীন ব্যবসায়ী সঞ্জয় কাপুরের সঙ্গে সাত পাক ঘুরেছিলেন। বিয়ের পর ১৩ বছর একসঙ্গে সংসার করেছিলেন তাঁরা। এরপর বিচ্ছেদের পথে হাঁটেন দু’জনে। বিবাহবিচ্ছেদের কারণ হিসেবে করিশ্মা বলেছিলেন, তাঁর স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাঁকে মারধর করতো। শুধু তাই নয়, সঞ্জয় নাকি একবার তাঁর মা’কে করিশ্মাকে থাপ্পড় মারার কথাও বলেছিলেন।
রতি অগ্নিহোত্রী (Rati Agnihotri)- আশির দশকে বলিউডের অন্যতম নামী অভিনেত্রী ছিলেন রতি অগ্নিহোত্রী। ১৯৮৫ সালে অনিল ভিরওয়ানির সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন তিনি। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই রতির ওপর শারীরিক এবং মানসিক অত্যাচার করতেন অনিল। ছেলে তনুজের মুখের দিকে চেয়ে ৩০ বছর সেই অত্যাচার সহ্য করেছিলেন রতি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর সহ্য না করতে পেরে ২০১৫ সালে অনিলকে ডিভোর্স দিয়ে দেন অভিনেত্রী।
ঐশ্বর্য রাই (Aishwarya Rai)- ঐশ্বর্য যে একসময় সলমন খানের সঙ্গে প্রেম করতেন তা কারোর অজানা নয়। বেশ কয়েক বছর একসঙ্গে ছিলেন তাঁরা। কিন্তু যখন তাঁদের ব্রেক আপ হয় তখন সলমনের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ আনেন অভিনেত্রী। ঐশ্বর্য বলেছিলেন, দিনের পর দিন সলমন তাঁর ওপর শারীরিক অত্যাচার করেছেন। যদিও ভাইজান সেই অভিযোগ কখনও স্বীকার করেননি।
কঙ্গনা রানাউত (Kangana Ranaut)- বলি অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত একসময় আদিত্য পাঞ্চোলির সঙ্গে প্রেম করতেন। সেই প্রেম ভাঙার পর কঙ্গনাও তাঁর প্রেমিকের বিরুদ্ধে শারীরিক অত্যাচারের অভিযোগ এনেছিলেন। তিনি দাবি করেছিলেন, আদিত্য তাঁকে বাড়িতে বন্দি করে রাখতেন। দু’তলার জানলা দিয়ে লাফ মেরে সেখান থেকে পালিয়েছিলেন তিনি। যদিও আদিত্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন।
জিয়া খান (Jiah Khan)- আদিত্যর ছেলে সুরজ পাঞ্চোলির বিরুদ্ধেও শারীরিক অত্যাচারের অভিযোগ উঠেছিল। সেই অভিযোগ এনেছিলেন প্রয়াত অভিনেত্রী জিয়া খানের মা। জিয়ার মৃত্যুর পর তাঁর মা দাবি করেছিলেন, সুরজ তাঁর মেয়ের ওপর প্রচণ্ড অত্যাচার করতেন। যদিও সেই অভিযোগ সুরজ মানেননি।
পূজা ভাট (Pooja Bhatt)- মহেশ ভাটের মেয়ে তথা অভিনেত্রী পূজা ভাট অভিনেতা রণবীর শোরের সঙ্গে একসময় লিভ ইন সম্পর্কে ছিলেন। তবে সেই সম্পর্ক বেশিদিন টেকেনি। বিচ্ছেদের কারণ হিসেবে পূজা দাবি করেছিলেন, রণবীর নাকি মদ খেয়ে তাঁর ওপর অত্যাচার করতেন।
জিনাত আমন (Zeenat Aman)- সত্তরের দশকে বলিউডে রাজত্ব করেছেন যে অভিনেত্রীরা তাঁদের মধ্যে একজন হলেন জিনাত আমন। কেরিয়ারে অগাধ সাফল্য পেলেও ব্যক্তিগত জীবন অবশ্য সুখের ছিল না অভিনেত্রীর। ১৯৭৮ সালে বিবাহিত সঞ্জয় খানের সঙ্গে পরিণয় সূত্রে আবদ্ধ হয়েছিলেন জিনাত। কিন্তু এক বছরের মাথায় সেই বিয়ে ভেঙে যায়।
জানা যায়, তাজ হোটেলে প্রথম স্ত্রীয়ের সামনে জিনাতকে মেরেছিলেন সঞ্জয়। সেই মারের দাগ অভিনেত্রীর চোখে রয়েছে। এই ঘটনার পর ডিপ্রেশনে চলে যান জিনাত। পরে মজহার খানের সঙ্গে নতুন সংসার শুরু করেন তিনি। তবে দুর্ভাগ্যবশত দ্বিতীয় স্বামীও অভিনেত্রীর ওপর শারীরিক অত্যাচার করতেন।