একজন পুরুষ মানুষ স্কার্ট (Skirt) এবং হাই হিল (High heel) পরে অফিসে ঢুকছেন। এই দৃশ্য দেখতে আমরা একেবারেই অভ্যস্ত নেই। কিন্তু এবার সেই দৃশ্যই দেখালেন ৬৩ বছরের মার্ক ব্রায়ান (Mark Bryan)। পুরুষ মানুষ মানেই সে স্কার্ট, হিল এসব পরতে পারবে না এমনটা যে নয়, তা প্রমাণ করলেন তিনি। অবশ্য এখন থেকে নয়, বরং গত বেশ কয়েক বছর ধরে স্কার্ট এবং হিল পরছেন মার্ক।
৬৩ বছর বয়সী মার্ক জার্মানির বাসিন্দা। পেশায় তিনি রোবোটিক ইঞ্জিনিয়ার। নামী সংস্থায় ভালো চাকরি করেন তিনি। গত ৬ বছর ধরে এই মার্কই সমাজের নির্ধারণ করে দেওয়া পোশাকের নিয়ম ভেঙে চলেছেন। পুরুষ হয়েও স্বচ্ছন্দে স্কার্ট এবং হিল পরে অফিস যাচ্ছেন তিনি। পাশাপাশি তিনি এও বলেছেন, পোশাকের কারণে তাঁকে যদি কেউ সমকামী ভেবে থাকেন তাহলে সেই ব্যক্তি একেবারেই ভুল।
মার্কের কথায়, ‘আমি একজন স্ট্রেট, সুখী বিবাহিত পুরুষ। আমার পোরসে, সুন্দরী মেয়ে ভালোলাগে এবং আমি নিজের রোজকার ফ্যাশানে স্কার্ট এবং হাই হিল অন্তর্ভুক্ত করেছি’। তাঁর কথায়, তিনি এই পোশাক পরেন কারণ তাঁর এই পোশাক পরতে ভালোলাগে।
মার্ক বলেন, ‘আমি এই ধরণের পোশাক পরি কারণ আমি পরতে পারি। আমি বাকিদের থেকে ভিন্ন হতে চাই। জেসব মহিলারা টাইট স্কার্ট এবং হিল পরে আমার তাঁদের বরাবর ভালোলাগে। শারীরিক দিক থেকে নয়, বরং তাঁরা যেভাবে শক্তির প্রদর্শন করেন সেদিক থেকে’।
পেশায় রোবোটিক ইঞ্জিনিয়ার মার্কের মতে, পোশাকের কোনও লিঙ্গ হয় না। সেই কারণে তিনি স্বচ্ছন্দে স্কার্ট এবং হাই হিল পরেন। এমনকি তাঁর এই চয়েজে কোনও সমস্যা নেই তাঁর স্ত্রীরও। বরং তিনি মার্ককে পোশাক বেছে নিতে সাহায্য করেন।
View this post on Instagram
টেক্সাসনিবাসী এই ব্যক্তি জানান, একঘেয়ে পুরুষদের পোশাক পরতে পরতে তাঁর বিরক্তি এসে গিয়েছিল। এরপর ২০১৫ সাল নাগাদ তিনি ছকভাঙা পোশাক পরার সিদ্ধান্ত নেন। প্রথমে স্যুটের সঙ্গে হাই হিল পরা শুরু করেছিলেন তিনি। এরপর তথাকথিত মেয়েলি রঙের পোশাক পরা শুরু করেন। এরপর মার্কের স্ত্রীই তাঁকে বলেন স্কার্ট অথবা ড্রেস জাতীয় কিছু পরার। এরপর থেকে স্কার্ট এবং হাই হিলই হয়ে গিয়েছে মার্কের অফিস ইউনিফর্ম। মার্ক যেভাবে সমাজের নির্ধারিত ‘পুরুষের পোশাক’এর ছক ভাঙছেন তা দেখে মুগ্ধ হয়েছেন অনেকে।