বলিউডে এমন খুব কম ছবিই (Bollywood movies) রয়েছে যেগুলি মহিলাকেন্দ্রিক। সেই ছবিগুলির মধ্যে আবার হাতেগোনা কয়েকটি সিনেমা গৃহবধূদের নিয়ে তৈরি। ধারাবাহিকের দৌলতে মেয়েদের লড়্রাইয়ের কাহিনী ফুটিয়ে তোলা হলেও, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তা অত্যন্ত অতিরঞ্জিত হয়। তবে আজ বং ট্রেন্ডের প্রতিবেদনে এমন কিছু সিনেমা এবং শোয়ের নাম তুলে ধরা হল যা গৃহবধূদের (Homemakers) জীবনের ওপর তৈরি এবং যেগুলি না দেখলে হবে চরম মিস।
ইংলিশ ভিংলিশ (English Vinglish)- বলিউডের প্রথম মহিলা সুপারস্টার তিনি এমনি এমনি হননি। শ্রীদেবী এই ছবির মাধ্যমে প্রমাণ করেছিলেন তিনি কোন মাপের অভিনেত্রী। শশী নামের এক চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন প্রয়াত অভিনেত্রী। ছবিতে দেখানো হয়েছিল, সামান্য একজন গৃহবধূ হওয়ায় শশীকে কোনোদিন যোগ্য সম্মান দেয়নি তাঁর স্বামী-সন্তানরা। তবে নিজের জেদে তিনি প্রত্যেককে প্রমাণ করে দিয়েছিলেন ‘সামান্য’ গৃহবধূ হলেও তিনি কী কী করার ক্ষমতা রাখেন।
অনুপমা (Anupamaa)- বাংলার ‘শ্রীময়ী’ ধারাবাহিকের হিন্দি ভার্সন এটি। মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করছেন রূপালি গাঙ্গুলী। এই ধারাবাহিকে দেখানো হয়, স্বামী-শাশুড়ি লাথি-ঝাঁটা খাওয়া সত্ত্বেও সম্পূর্ণ পরিবারকে এক সুতোয় বেঁধে রেখেছেন অনুপমা। তবে সবচেয়ে ভালো জিনিস হল, অনুপমাকে মুখ বুজে সহ্য করানো নয় বরং ধারাবাহিকের দেখানো হয় নিজের সুখের জন্য নাচ, স্বামীকে ছেড়ে নতুন পুরুষের কাছে চলে গিয়েছে অনুপমা।
সাস বহু আচার প্রাইভেট লিমিটেড (Saas Bahu Achaar Pvt Ltd)- সুমন নামের এক গৃহবধূর কাহিনী দেখানো হয়েছে এই সিরিজে। এক অন্য মহিলার জন্য সুমনকে তাঁর স্বামী ছেড়ে দেয়। এরপর সন্তানদের কাস্টোডির জন্য স্বামীর সঙ্গে তাঁর লড়াই শুরু হয়। অর্থ উপার্জন করেন না বলে স্বামীর কাছে বারবার খোঁটা শোনার পর শেষে নিজের আচারের ব্যবসা শুরু করেন সুমন। একজন গৃহবধূ থেকে তিনি কীভাবে ব্যবসায়ী হন তাই দেখানো হয়েছে এখানে।
দ্য লাঞ্চবক্স (The Lunchbox)- শুধুমাত্র সমাজের জন্য বিনা ভালোবাসার বিয়েতে থাকতে রাজি নন ইলা। যতই পরিশ্রম করুক না কেন কিছুতেই তাঁকে সম্মান দেয় না বাড়ির কেউ। নিজের সুখের জন্য ইলা কীভাবে একটি বড় পদক্ষেপ নেয়, তাই দেখানো হয়েছে এই ছবিতে।
থাপ্পড় (Thappad)- অমৃতা যেন একজন মানুষ নয়, সে যেন একটি মেশিন। রোজই সকাল থেকে উঠে এক কাজ করে সে। স্বামী এবং শ্বশুর বাড়ির আশেপাশেই ঘোরে তাঁর জীবন। কিন্তু তাঁর জীবনে ঝড় তখন ওঠে যখন ভরা পার্টিতে তাঁকে থাপ্পড় মারে স্বামী। নিজের দোষকে অনেকভাবে ঠিক প্রমাণ করতে গেলেও, অমৃতা স্বামীকে করেন না। স্বামীকে ছেড়ে নিজের পৃথিবী বদলাতে হলেও, অমৃতা নিজের আত্মসম্মানের সঙ্গে আপোষ করতে রাজি হয়নি। এই বিষয়টি নিয়েই আবর্তিত হয়েছে ছবির কাহিনী।
তুমহারি সুলু (Tumhari Sulu)- গৃহবধূদের নিয়ে সেরা ছবির তালিকায় শেষ নামটি হল ‘তুমহারি সুলু’র। চিরকাল পরিবারের ঠিক করে দেওয়া পথে হাঁটা সুলু কীভাবে একজন সফল আরজে হন, তাই দেখানো হয়েছে ছবিতে।
প্রথমে মা-বাবা-দিদিরা এবং পরে স্বামী, সবাই শুধু সুলুকে বলেই দিয়েছে কী বেছে নিতে হবে। কিন্তু সুলু যখন নিজের জন্য কোনও সিদ্ধান্ত নেন তখন আসলে বদলায় তাঁর জীবন। একজন সাধারণ গৃহবধূ থেকে কীভাবে সুলু সবার কাছে একজন চেনা নাম হয়ে যান তা নিয়েই তৈরি হয়েছে এই ছবি।