যার সাথে সারাজীবন কাটাবেন সেই মানুষটা ভালো হওয়া খুবই জরুরী, সে প্রেমিক হোক বা প্রেমিকা। কিন্তু সকলের কি আর ওমন ভাগ্য হয়? অনেকের জীবনেই এমন প্রেমিকা জোটে, যার কারণে অতিষ্ঠ হয়ে যায় জীবন। সিনেমাকে বলা হয় লার্জার দ্যান লাইফ, কিন্তু কখনও সখনও সিনেমার চরিত্রদের সাথেই বাস্তবের মানুষ গুলো মিলে যায়।
বলিউডে গত কয়েক দশক ধরেই টক্সিক অর্থাৎ বিষাক্ত প্রেমিকাদের হাইলাইট করে ছবি বানানোর ট্রেন্ড চলছে, যার জেরে নায়কের জীবন ধ্বংস হয়ে যেতে দেখা গিয়েছে। আজ বংট্রেন্ডের পর্দায় রইল রিল লাইফের এমনই কিছু প্রেমিকার তালিকা।
১. রাব নে বানা দি জোড়ি ছবির তানি
একজন যত্নশীক স্বামী পাওয়া সত্ত্বেও রাব নে বানাদি জোড়ি ছবির তানি তার স্বামীর সাথে খারাপই করে গিয়েছেন। অথচ তানির স্বামী তাকে খুশি করার জন্য সব করতে প্রস্তুত ছিলেন। যত্নশীল ভদ্র স্বামীর পরিবর্তে তানির পছন্দ ছিল একজন লোফার গোছের ছেলেকে৷ তাই এমন প্রেমিকার জন্য যতই করুন না কেন তাকে খুশি করা কার্যত অসম্ভব। এই ছবিতে অভিনয় করেছিলেন শাহরুখ অনুষ্কা।
২. তনু ওয়েডস মনু ছবির তনু
এই ছবির আর.মাধবনকে সবচেয়ে বোকা প্রেমিক হিসেবে পরিচয় দিলেও ভুল হয়না। তনু মনুকে প্রত্যাখ্যান করে অন্য ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক চালিয়ে যাওয়ার পরেও, আগের প্রেমিক অর্থাৎ মনু তার কথায় উঠতো এবং বসতো। বাস্তবেও এমন মেয়েদের অভাব নেই।
৩. জিন্দেগি না মিলেগি দোবারা থেকে নাতাশা
এই ছবিটি খুব পছন্দের এবং একটি ভালো প্লট নিয়ে। এবং নাতাশার চরিত্রটি আসলে পুরো পরিস্থিতিকে আরও ভাল করে তুলেছে। কিন্তু যদি আমরা তাকে সেই ভিত্তিতে বিচার করি, তাহলে এটা নিশ্চিত যে সে খুবই বিরক্তিকর এবং ঘৃণ্য। নিজের বাগদত্তার ব্যাচেলর পার্টিতে বিধ্বস্তর ব্যাপারটা মোটেও মজার নয়।
৪. হাসি তো ফাসি থেকে করিশ্মা
যাই ঘটুক না কেন, একটি ঝড়, মহামারী, টাইফুন, যেকোন কিছু যা সম্ভবত কারিশমাকে বিচলিত করতে পারে, শুধুমাত্র একটি জিনিসের দিকে নিয়ে যায়। তা হল নিজের প্রেমিককে সবসময় ঠকানোর হুমকি দিতেন তিনি
৫. স্টুডেন্ট অফ দ্য ইয়ার থেকে শানায়া’
সানায়া কখনোই আসল মানুষ চিনতে পারেনি। যে তাকে ভালোবেসে বয়ফ্রেন্ডের কাছে প্রিয় হয়ে উঠতে সাহায্য করল তাকেই ঠকালেন শানায়া, অথচ বয়ফ্রেন্ড তখন ব্যস্ত অন্য মেয়েদের নিয়ে৷ বাস্তবেও এমন মেয়ে পাওয়া যায়, যারা নিজেদের সৌন্দর্য কাজে লাগিয়ে অসংখ্য পুরুষকে ব্যবহার করে।